মঙ্গলবার বেঙ্গল সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল। ছবি: সংগৃহীত।
শুরু হতে চলেছে বেঙ্গল সুপার লিগ (বিএসএল)। গ্রাম বাংলা থেকে পেশাদার ফুটবলার তুলে আনাই লক্ষ্য নতুন এই প্রতিযোগিতার। ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) অনুমোদিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হবে জেলা স্তরে। প্রধান উদ্যোক্তা শ্রাচী স্পোর্টস।
নতুন এই প্রতিযোগিতায় আটটি জোনে ভাগ করা হবে জেলাগুলিকে। হোম অ্যান্ড আওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে। সেমিফাইনাল হবে দুই পর্বে। সব মিলিয়ে ৬১টি ম্যাচ হবে বিএসএলে। প্রতি দলে ২৫ জন করে ফুটবলার থাকবে। আগামী অক্টোবরে শুরু হবে প্রতিযোগিতা। ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে লিগ। প্রথম বার জেলার অন্তত ৪টি করে স্টেডিয়ামে খেলা হবে। খেলাগুলি সম্প্রচার হবে ‘জ়ি বাংলা সিনেমা’ চ্যানেলে।
প্রথম জোনে থাকবে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং। দ্বিতীয় জোনে থাকবে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর। তৃতীয় জোনে থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম। চতুর্থ জোনে থাকবে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া। পঞ্চম জোনে থাকবে হাওড়া, হুগলী। ষষ্ঠ জোনে থাকবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম। সপ্তম জোনে থাকবে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। অষ্টম জোনে থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
তৃণমূল স্তরের ফুটবলারদের উন্নয়ন, নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করা, আগামী দিনের তারকা তৈরির করার মতো নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতা। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছেন, ‘‘জেলার মানুষদের মধ্যে ফুটবল জনপ্রিয়। আগ্রহ বেশি। জেলাগুলির কথা ভেবেই বেঙ্গল সুপার লিগের ভাবনা শুরু। একটা মঞ্চ দরকার ছিল, যেখানে জেলার ফুটবলারেরা নিজেদের তুলে ধরতে পারবে।’’ রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য জেলাগুলি থেকে ফুটবলের নতুন প্রতিভা খুঁজে আনা। কলকাতা ময়দানের ক্লাবগুলিতে যারা খেলে, তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন জেলা থেকে আসে। তাই আমাদের নজর জেলার ফুটবলে। আমাদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আইএফএকে ধন্যবাদ। আশা করি, বিএসএল বাংলার ফুটবলকে সমৃদ্ধ করবে।’’
মঙ্গলবার কলকাতার এক হোটেলে বিএসএলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। আইএফএ সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রাচী স্পোর্টসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল টোডি। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন মেহতাব হোসেন, অসীম বিশ্বাস, অর্ণব মন্ডল, রহিম নবি, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, শ্যাম থাপা, আলভিটো ডি কুনহা, দীপঙ্কর রায়।