East Bengal's new coach

মেসির খাসতালুকে জন্ম, খেলেওছেন বার্সেলোনার হয়ে, চিনে নিন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচকে

সোমবার সকালেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করা হল লাল-হলুদের তরফে। কে এই কার্লস কুয়াদ্রাত?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৮
Share:

ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। — ফাইল চিত্র

সোমবার সকালেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করা হল লাল-হলুদের তরফে। সের্জিয়ো লোবেরাকে যে পাওয়া যাবে না, এটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। তাই আর অপেক্ষা করা হয়নি। নতুন কোচের নাম জানিয়ে দেওয়া হল নববর্ষের ঠিক দশ দিন পরে।

Advertisement

কার্লস কুয়াদ্রাত ভারতীয় ফুটবলে মোটেই অচেনা নন। বিশেষত সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে তাঁর খুবই ভাল সম্পর্ক। এখনও তা অটুট। বেঙ্গালুরুকে কোচিং করানোর পর অন্য দেশে চলে গিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে আবার ফিরছেন এ দেশে।

কুয়াদ্রাত যেখানে জন্মেছেন এবং বড় হয়েছেন, তা লিয়োনেল মেসির খাসতালুক হিসাবেই পরিচিত। বার্সেলোনায় জন্ম। দশ বছর বয়সে লা মাসিয়ায় ভর্তি হন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত বার্সেলোনার সমস্ত যুবদলের হয়ে খেলেছেন তিনি। দু’বার অনূর্ধ্ব-১৯ স্প্যানিশ কাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। লুই আরাগোনেসের অধীনে বার্সেলোনার প্রথম দলের হয়ে কিছু ফ্রেন্ডলি ম্যাচে খেলেছেন। তাঁর সতীর্থ ছিলেন গ্যারি লিনেকার, বার্নড শুস্টারের মতো ফুটবলার। এর পরে গাভা, সাবাদেলের মতো বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন কুয়াদ্রাত।

Advertisement

কোচিং শুরু গাভাতেই। তিন বছর সেখানে কাটিয়ে আবার ফিরে যান বার্সেলোনায়। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সহকারী কোচ হন। তার পরের কিছু বছর বার্সেলোনার বিভিন্ন যুব দলে কোচিং করিয়েছেন। ২০০৯-এ তুরস্কের গালাতাসারেতে ফিজিক্যাল ট্রেনার হিসাবে যোগ দেন। সেখানে তখন কোচ নেদারল্যান্ডসের ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড।

গালাতাসারেতে আলবের্ত রোকার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোকাই তাঁকে ২০১৬-য় নিয়ে আসেন বেঙ্গালুরুতে। প্রথমে সহকারী কোচ ছিলেন। রোকা চলে যাওয়ার পর প্রধান কোচ হন এবং বেঙ্গালুরুকে আইএসএল জেতান।

কুয়াদ্রাতের অধীনে বেঙ্গালুরুর অনেক ক্লাব রেকর্ড রয়েছে। ২০১৮-১৯ মরসুমে টানা ১১টি ম্যাচে অপরাজিত ছিল বেঙ্গালুরু, যা সেই সময় লিগের ইতিহাসে রেকর্ড ছিল। এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে পারো এফসি-কে ৯-১ গোলে হারায় বেঙ্গালুরু। এটি এখনও পর্যন্ত তাদের সর্বাধিক ব্যবধানে জয়। ঘরের মাঠে ৩০৫ মিনিট গোল খায়নি বেঙ্গালুরু।

২০২১-এর শুরুতেই বেঙ্গালুরুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ত্যাগ হয়। তিনি সাইপ্রাসের আরিস লিমাসলে যোগ দেন। সেই ক্লাবের ইতিহাসে সেরা মরসুম উপহার দেন। উয়েফার ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করে ক্লাব। ইস্টবেঙ্গলে আসার আগে তিনি সহকারী কোচ হিসাবে দায়িত্ব ছিলেন ডেনমার্কে এফসি মিডজায়েল্যান্ডের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন