ফর্ম বলছে ভারত, ইতিহাস হেলে কিউয়িদের দিকে

মহারণের ঘণ্টাটা বেজেই গেল। আজ নাগপুরে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে প্রথম যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত টিম ইন্ডিয়া। প্রস্তুত নিউজিল্যান্ডও। তৈরি নাগপুরও। রানের স্বর্গ সাজিয়ে অপেক্ষা করে আছে জামথার বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাশোসিয়েশন স্টেডিয়ামের ২২গজ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই পিচে হেসে খেলে ১৬০ রান উঠবেই।

Advertisement

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৬ ১৫:১৪
Share:

মহারণের ঘণ্টাটা বেজেই গেল। আজ নাগপুরে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে প্রথম যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত টিম ইন্ডিয়া। প্রস্তুত নিউজিল্যান্ডও। তৈরি নাগপুরও। রানের স্বর্গ সাজিয়ে অপেক্ষা করে আছে জামথার বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাশোসিয়েশন স্টেডিয়ামের ২২গজ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই পিচে হেসে খেলে ১৬০ রান উঠবেই। সুপার টেনের প্রথম সুপার ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনায় ফুটছে কমলালেবুর শহর। ৫০০ থেকে ৫০০০, সব দামের টিকিটই নিঃশেষিত। তবুও কমছে না হাহাকার! আকাল এতটাই যে, ক্রিকেট কর্তাদের ঝুলিতে পরিজনদের জন্যও টিকিট নেই।

Advertisement

বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগে ১১টি টি২০ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই জিতেছেন কোহলিরা। আইসিসি টি২০ ক্রিকেট র‌্যাঙ্কিয়ে এক নম্বর জায়গাটাও দখলেই। তাই এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই ধোনি বাহিনীর অন্দরমহলে। টিমের ইয়ং ব্রিগেডের জন্য নয়া কৌশল নিয়েছে দলের থিঙ্কট্যাঙ্ক। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ নয়, আজকের খেলাটাকে সাধারণ একটা টি২০ দ্বৈরথ হিসেবেই নাও— নতুনদের মগজের কোণায় কোণায় এখন এই মন্ত্রই পুরে দিতে বদ্ধ পরিকর ধোনিরা।

বুমরাহদের জন্য এটা প্রথম বিশ্বকাপ হলেও, আইপিএল খেলার সুবাদে ২০ ওভারের ম্যাচের হাই টেনশন সামলাতে মোটামুটি তাঁরা ভালই দক্ষ। আর এই আইপিএল ফান্ডাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন ক্যাপ্টেন কুল। হার্দিকদের প্রাণপনে বোঝাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক বা রক্ষনাত্মক, কোনওটাই হওয়ার দরকার নেই। বিশ্বকাপের চাপ আরামসে সামলাতে পারবেন নতুনরা— দৃঢ় বিশ্বাস অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের।

Advertisement

নাগপুরে আজ এই আইপিএল মেজাজটাই ধরে রাখতে চাইছেন ক্রিকেট কর্তারাও। আইপিএল-এর মতোই আজকের ম্যাচের জন্য সাজছে মেহফিল। বিশ্বজয়ের ময়দানে প্রাণপনে আইপিএল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা কি আসলে রণ কৌশল? হয়তো!

অন্য দিকে, অস্ত্রে কিন্তু শান দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডও। ভারতের যদি এক জন কোহলি থাকে, কিউয়িদের কিন্তু এক জন উইলিয়মসন আছেন। এ দিকে সুরেশ রায়না, তো, ও দিকে গাপ্তিল। আছেন ম্যাকালামও। প্রত্যেকেই টি২০ স্পেশালিস্ট। আইপিএল খেলার সুবাদে ভারতের মাটিও তাঁদের ভীষণ চেনা। এবং কিউয়িদের সঙ্গী সেই ইতিহাস। ২০০৭-এর বিশ্বকাপ জয়ী ভারতকে কিন্তু মাথা নত করতে হয়েছিল টিম ধোনিদের। শুধু তাই নয়, টি২০ যুদ্ধে এখনও ওই সাদা-কালো জার্সির কাছ থেকে জয়টা অধরাই রয়ে গিয়েছে পয়লা নম্বরিদের।

কে কাকে পাল্লা দেবে, তার ফয়সলাটা হবে ওই তিন ঘণ্টাতেই, নাগপুরের ২২ গজেই। ইতিহাসের অভিমুখটা কি বদলাবে, নাকি অক্ষয় থাকবে তার মূল গতি? খেলার আগেই উইলিয়ামসন কিন্তু চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিয়েছেন। এই হুঙ্কারের বদলে জয় কি ছিনিয়ে আনতে পারবেন ধাওয়ানরা? জবাবটা পেতে অপেক্ষা মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা।

তবে, আজকের দিনটা একটু আলাদা। অন্য বিশ্বকাপের শুরুয়াতের থেকে অন্য রকম। এই প্রথম বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে কোনও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াই। রণ কৌশল? কে জানে!

আরও পড়ুন-নেটেই ক্যাপ্টেন কুল বুঝিয়ে দিচ্ছেন দল কতটা গনগনে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement