প্রয়াত হলেন ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমেদ খান।
বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই। গত এক মাস ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতিও হচ্ছিল। অবশেষে রবিবার বিকেলে প্রয়াত হলেন ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমেদ খান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী এবং এক পুত্র ও এক কন্যাকে।
এ দিন বিকেল ৩-৪৫ মিনিটে বেঙ্গালুরুর বাড়িতে প্রয়াত হন তিনি। দেশের হয়ে ১৯৪৮-এর লন্ডন অলিম্পিক্স ও ১৯৫২ সালের হেলসিঙ্কি অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করেছেন আমেদ খান। পাঁচের দশকে ইস্টবেঙ্গলের বিখ্যাত ‘পঞ্চপাণ্ডব’-এর মধ্যমণি ছিলেন তিনিই। সেই দলের সালে, বেঙ্কটেশ, ধনরাজ, আপ্পা রাও-রা প্রয়াত হয়েছেন আগেই। এ বার চলে গেলেন শেষ পাণ্ডব আমেদ খানও। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় ফুটবলের একটা যুগের অবসান হল।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ডুরান্ড জয়ী দলের সদস্য। ১৯৫৩ সালে ইস্টবেঙ্গলের রোমানিয়া ও রাশিয়া সফরে প্রশংসিত হয়েছিল অধিনায়ক আমেদ খানের ফুটবল। কোনও সরকারি সম্মান না পেলেও ২০১২ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ‘ভারত গৌরব’ সম্মান দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল তাঁকে।
আমেদ মহম্মদ খান
ময়দানে পরিচিত: স্নেক চার্মার বা সাপুড়ে নামে।
জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯২৬।
প্রয়াণ: ২৭ অগস্ট, ২০১৭।
ফুটবলে হাতেখড়ি: বাবা মেহমুদ খান ও মামা ফজলুল্লা খানের কাছে।
ক্লাব ফুটবলে: প্রথমে বেঙ্গালুরু ক্রিসেন্টস ক্লাব। তার পর বাঙ্গালোর মুসলিমস। ১৯৪৮-এ মোহনবাগানকে রোভার্স কাপ ফাইনালে ১-০ হারিয়ে নজরে পড়ে যান ইস্টবেঙ্গলের তৎকালীন কর্তা জ্যোতিষ গুহর। জেসি গুহ-র হাত ধরে পরের বছর ইস্টবেঙ্গলে। দশ বছর ইস্টবেঙ্গলে খেলার পর ১৯৬০ সালে মহমেডানে।
দেশের হয়ে: ১৯৪৮-এ লন্ডন ও ১৯৫২-তে হেলসিঙ্কি অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলের সদস্য।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে: ১৯৪৯ সালে লিগ-শিল্ড-রোভার্স জয়। ১৯৫১ সালে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ডুরান্ড কাপ জয়ী দলের সদস্য। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পাঁচের দশকে রোমানিয়া ও রাশিয়া সফরের দলে ছিলেন।
সম্মান: ২০১২ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব শ্রদ্ধা জানায় ‘ভারত গৌরব’ সম্মান দিয়ে।