বিয়র্ন বর্গ। ছবি: এক্স।
প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন বিয়র্ন বর্গ। ইউএস ওপেনের মাঝেই প্রকাশ্যে এসেছে ১১বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়ের অসুস্থতার খবর। রুটিন মাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে ক্যানসারের কথা জানতে পারেন ৬৯ বছরের প্রাক্তন খেলোয়াড়।
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা নিজেই জানিয়েছেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর খেলোয়াড়। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বর্গের আত্মজীবনী ‘হার্টবিটস’ প্রকাশ পাবে। সেই বইয়ের কিছু অংশ আগেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তা থেকে সুইডেনের প্রাক্তন খেলোয়াড়ের অসুস্থতার কথা জানা গিয়েছে।
বছর দুয়েক আগে জীবনদায়ী অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে বর্গকে। আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে বিকল্প কোনও উপায় থাকে না। আমার শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। রুটিন মাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে ধরা পড়ে আমার প্রস্টেট ক্যানসার হয়েছে। আমি তখন একদম অ্যাডভান্সড স্টেজে। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সব সময় থাকে। ব্যাপারটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আপাতত এই ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে। প্রতি ছ’মাস অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। যাতে ক্যানসার আবার ছড়াতে শুরু করলেই ধরা যায়। বেশ চিন্তার জীবন কাটাতে হচ্ছে। ভয় আসে। আবার কেটেও যায়। এটাই জীবন। কেউ জানে না, তার জন্য কী অপেক্ষা করছে। তাই প্রতিটা দিন যতটা সম্ভব কাজে লাগানো উচিত।’’
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই সবচেয়ে পছন্দ করেন বর্গ। আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার দুই ছেলে। রবিন আর লিয়ো। আমার দুটো দারুণ নাতি-নাতনি রয়েছে। এক জনের বয়স ১২। আর এক জন ১০। আমি একটু পারিবারিক মানুষ। পরিবারের সকলের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটাই। আমার কাছে এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখনও টেনিসের সঙ্গে যুক্ত আছি। নানা জায়গায় খেলা দেখতে যাই। টেনিসের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাই। যাঁরা টেনিস ভালবাসেন, তাঁদের সঙ্গেও আড্ডা মারি। তবু পরিবার, বাচ্চা, নাতি-নাতনিরাই আমার কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭৩ সালে পেশাদার টেনিস শুরু বর্গের। ১৯৮৪ সালে অবসর নেন। আবার টেনিসে ফেরেন ১৯৯১ সালে। ১৯৯৩ সালে পাকাপাকি ভাবে অবসর নেন। ছ’বার ফরাসি ওপেন এবং পাঁচ বার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চার বার ইউএস ওপেন ফাইনাল খেললেও খেতাব জিততে পারেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কখনও তৃতীয় রাউন্ডের বেশি এগোতে পারেননি বর্গ। দু’বার জিতেছেন ট্যুর ফাইনাল। সুইডেনকে ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়নও করেছেন।