স্মৃতি: ১৯৯৮ সালে উইম্বলডন জয়ের পরে নভোৎনা। ছবি: টুইটার
অঝোরে কেঁদে চলেছেন মাথায় ফেট্টি বাঁধা এক তরুণী। আর তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন ডাচেস অব কেন্ট, ‘‘কেঁদো না, তুমিও এক দিন চ্যাম্পিয়ন হবে।’’
১৯৯৩ উইম্বলডন ফাইনালের পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের এই দৃশ্য এখনও টেনিস প্রেমিদের স্মৃতিতে টাটকা। স্টেফি গ্রাফের কাছে হারের পরে সে দিনের সেই তরুণী পাঁচ বছর পরে সেন্টার কোর্টে চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা হাতে তুলে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, কী ভাবে ফিরে আসতে হয় চ্যাম্পিয়নের মতো।
কোর্টের যুদ্ধে এ ভাবেই অসাধারণ ভাবে উঠে দাঁড়ানো টেনিস তারকা— ইয়ানা নভোৎনা জীবনের যুদ্ধে হেরে গেলেন রবিবার। মাত্র ৪৯ বছর বয়েসে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাক্তন টেনিস তারকা মারা গেলেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। সেই মারণ রোগই কেড়ে নিল তাঁকে।
’৯৩ উইম্বলডনের সেই ঘটনার পরে এক সাক্ষাৎকারে নভোৎনা বলেছিলেন, ‘‘পরের দিন আমার খুব মন খারাপ ছিল। কিন্তু সকালে খবরের কাগজে দেখলাম ডাচেস অব কেন্ট আর আমার ছবিটা প্রথম পাতায়। দেখে খুব ভাল লাগল। মনে হল পেশাদার টেনিসের মানবিক দিকটা আমি তুলে ধরেছিলাম।’’
টেনিস দুনিয়াতেও ওই একটা ছবিই জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর অনেক সমসাময়িক খেলোয়াড়ের মতোই নেটে সাবলীল ছিলেন নভোৎনা। শুধু সিঙ্গলস নয়, ডাবলস এবং মিক্সড ডাবলসেও তাই তাঁর কৃতিত্ব চোখ ধাঁধানো। ১২টা ডাবলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং চারটি মিক্সড ডাবলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন তিনি।
সিঙ্গলসে বিশ্বের দু’নম্বর এবং ডাবলসে বিশ্বের এক নম্বরের সিংহাসনে এসেছেন। পাশাপাশি ফেড কাপে চেক প্রজাতন্ত্রকে চ্যাম্পিয়ন করা এবং অলিম্পিক্সে সিঙ্গলস এবং ডাবলস দুটিতেই পদক দিয়েছেন তাঁর দেশকে।