‘গৌতমের সরে দাঁড়ানোটা দিল্লিকে না চাঙ্গা করে দেয়’

তরুণ খেলোয়াড়রা বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপারটা ভাল চোখে নিতে পারে না। সব পেশাদার খেলাতেই ছবিটা এক। আর ঠিক এই জন্যই তো কোচ আর সাপোর্ট স্টাফের গুরুত্ব এতটা।

Advertisement

জাক কালিস

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৭
Share:

দিল্লি বধের ছক কষতে আলোচনায় মগ্ন কোচ-অধিনায়ক।

এই এক সপ্তাহের বিশ্রামটা কেকেআরের সবার জন্য খুব দরকার ছিল। আমি নিশ্চিত এই সুযোগটা সবাই কাজে লাগিয়েছে। বিশ্রাম নেওয়ার এমন সুযোগ খুব বেশি পাওয়া যায় না।

Advertisement

তবে একটা কথা বলি। তরুণ খেলোয়াড়রা বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপারটা ভাল চোখে নিতে পারে না। সব পেশাদার খেলাতেই ছবিটা এক। আর ঠিক এই জন্যই তো কোচ আর সাপোর্ট স্টাফের গুরুত্ব এতটা। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে প্রত্যেক তরুণ ক্রিকেটারই তো চাইবে প্রতিদিন অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি রাখতে। এত দিন ধরে যে স্বপ্ন দেখত, সেটাই তো বাস্তব হতে দেখছে সে।

তবে প্রতি মরসুমে যখন আইপিএলের সূচি ঘোষণা করা হয়, একটা জিনিস কিন্তু বরাবর মাথায় থাকে আমার। দলকে তরতাজা করে তোলার জন্য টুর্নামেন্ট চলার সময় কোথায় কোথায় থামতে হবে আমাদের। যাতে টুর্নামেন্টে এগিয়ে চলার শক্তি সরবরাহে কোনও ঘাটতি না থাকে। ২০০৮ থেকেই এই দৌড়টা আমি চালিয়ে এসেছি। প্রথমে ক্রিকেটার, তার পরে কোচ হিসেবেও। টুর্নামেন্টের আসল সময়ে দম হারিয়ে ফেলছে, এমন অনেক ক্রিকেটার এবং দলকে আমি দেখেছি। কারণ, টুর্নামেন্টের গোড়া থেকেই তারা তীব্র গতিতে দৌড়তে শুরু করে দিয়েছিল। শারীরিক আর মানসিক ভাবে সতেজ থাকার ব্যাপারটা তারা ভাবেইনি।

Advertisement

প্রতি বছরের মতো এ বারও বার্ষিক কেকেআর গল্‌ফ দিবস দারুণ সফল হয়েছে। আমাদের স্পনসরদের ধন্যবাদ জানানো সঙ্গে আর্থিক দিক থেকে যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের দলের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর মধ্যে আইপিএলে যে ম্যাচগুলো হয়েছে প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণের জন্য তার হাইলাইটস দেখেছি।

সানরাইজার্স ১১৮ রানের লক্ষ তুলেও ম্যাচ জিতে দেখিয়ে দিয়েছে আইপিএলে কিছুই অসম্ভব নয়। বুধবার আবার এমএস দেখিয়ে দিল ধৈর্য আর অভি়জ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে ও এখনও কতটা ক্ষমতা ধরে। এই দুটো ব্যাপারেই অবশ্য প্রমাণ করার কিছু নেই। যাঁরা ক্রিকেটের নিয়মিত খবর রাখেন তাঁরা সব জানেন।

যাই হোক, আমাদের সামনে এ বার একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে। তাপমাত্রার সমস্যাও সামলাতে হবে তার সঙ্গে। দেখছি, দিল্লিতে সপ্তাহের মাঝামাঝি ৪৭ ডিগ্রি গরম। বাবারে! গৌতমের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ধাক্কাটা ওদের দলকে না আবার তাতিয়ে দেয়। এটা নিয়ে আমি একটু চিন্তায় আছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন