কাশ্মীর প্রসঙ্গে ফের আফ্রিদি বনাম গম্ভীর

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৩৪
Share:

বিতর্ক: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে গম্ভীরের তোপের মুখে আফ্রিদি।

ফের শাহিদ আফ্রিদিকে বিদ্রুপ করলেন গৌতম গম্ভীর। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সূত্রেই শুক্রবার নিয়ন্ত্রণরেখায় গিয়ে মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি।

Advertisement

বুধবারই টুইটারে আবেদন করে আফ্রিদি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। শুক্রবার ‘মাজ়ার এ কুয়াইদ’-এ দুপুর ১২টার সময় আমি থাকব। ৬ সেপ্টেম্বর এক শহীদের বাড়িতেও যাওয়ার ইচ্ছে আছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় দেখা হচ্ছে।’’

এর আগেও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানান আফ্রিদি। এ দিন গৌতম গম্ভীর প্রাক্তন পাক তারকার এই আবেদন নিয়ে ব্যঙ্গ করেন। আফ্রিদির একটি ছবি পোস্ট করে গম্ভীর টুইট করেন, ‘‘এই ছবিতে শাহিদ আফ্রিদি নিজেকেই জিজ্ঞাসা করছে কোন কাজ করে আরও এক বার নিজেকে লজ্জিত করা যায়। আরও এক বার প্রমাণ হয়ে গেল, এখনও পরিণত হতে অনেক সময় লাগবে ওর। তাই ঠিক করেছি, ওকে অনলাইন কিন্ডারগার্টেন টিউটোরিয়ালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তাব দেব।’’

Advertisement

গম্ভীর ও আফ্রিদি বরাবরই যুযুধান। ২০০৭-এ কানপুর ওয়ান ডে-তে দু’জনে ম্যাচ চলাকালীন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেই রেশ এখনও কাটেনি। আফ্রিদি কোনও ভারত-বিদ্বেষী মন্তব্য করলেই তাঁকে আক্রমণ করতে ভোলেন না গম্ভীর।

কাশ্মীরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদও। তাঁর টুইট, ‘‘শান্তির পতাকা নিয়ে পাক সীমান্তে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। আবেদন করব আমার সঙ্গে যেন ক্রীড়াজগত ও অন্যান্য বিশেষ ব্যক্তিত্বেরা যোগ দেন। সেখানের মানুষদের সঙ্গে শান্তি নিয়ে চর্চা করব। কাশ্মীরের মানুষদের উপরে অত্যাচার থামানো না হলে আমি একাই সীমান্তে গিয়ে শান্তির বার্তা দেব। কাশ্মীরের মানুষদের পাশে বরাবরই আছি।’’

মঙ্গলবার পাক বক্সার আমির খান নিয়ন্ত্রণরেখায় গিয়ে মানুষদের সঙ্গে কথা বলে আসেন। পাক সেনাবাহিনীর সাহায্যেই তাঁকে নিয়ন্ত্রণরেখায় যাওয়ার ছাড় দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন