বিরাট কোহালি বনাম স্টিভ স্মিথ বিতর্কে আইসিসি যে ভূমিকা নিয়েছে, তা মেনে নিতে পারছেন না সুনীল গাওস্কর। কেন ডিআরএস কাণ্ডের জন্য স্মিথকে শাস্তি দিল না আইসিসি, এই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
শুধু তাই নয়, গাওস্কর এও বলেছেন, বিরাট যদি একই কাজটা করত, তা হলে কি ওঁর শাস্তি হতো না? এক টিভি চ্যানেলে গাওস্করের বিস্ফোরণ, ‘‘এটা তো ঠিক নয়। কোনও কোনও দেশকে এক রকম ভাবে দেখা হবে আবার কোনও দেশকে অন্য ভাবে। এর পরে যদি কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার ডিআরএস নেওয়ার সময় ড্রেসিংরুমের সাহায্য চায়, তা হলে তাকেও যেন শাস্তি দেওয়া না হয়।’’
আরও পড়ুন: ‘যদি কেউ পারে তো আমরাই’
গাওস্কর বলেই দিয়েছেন, তিনি রাঁচি টেস্টে ঠিক কী জিনিস দেখতে চান। ‘‘আমার খুব ভাল লাগবে যদি দেখি, বিরাটকে আম্পায়ার আউট দিয়েছে আর ও ডিআরএস নেওয়ার আগে ড্রেসিংরুমের সাহায্য চাইছে। তখন দেখব, ম্যাচ রেফারি আর আইসিসি কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে,’’ প্রায় চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন গাওস্কর।
বুধবার রাতেই আইসিসি জানিয়ে দিয়েছিল, স্মিথের বিরুদ্ধে তারা কোনও অভিযোগ আনছে না। একই সিদ্ধান্ত কোহালি সম্পর্কেও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও উত্তেজনা বিশেষ কমেনি। গাওস্কর তো কোনও রাখঢাক না করেই নিজের মনোভাব প্রকাশ করে দিয়েছেন।
একই কথা খাটছে ডেভিড সাকের সম্পর্কেও। অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ আবার ভারত অধিনায়ককে একহাত নিয়ে বলেছেন, ‘‘বিরাটের অভিযোগটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। স্মিথ যখন ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিত করল, তখন আমরাই চমকে গিয়েছিলাম। কারণ এ জিনিস আমরা আগে কখনও দেখিনি।’’ বিরাটের অভিযোগ ছিল, এর আগেও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা বার কয়েক ড্রেসিংরুমের সাহায্য চেয়েছেন ডিআরএস নেওয়ার আগে। সেই নিয়ে সাকের বলেছেন, ‘‘এটা অত্যন্ত অপমানকর। আপনাকে জোচ্চর বলার চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে? আমরা কখনওই ও সব করিনি আর করবও না।’’ অন্য যে ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সেই পিটার হ্যান্ডসকম্ব আবার বলেছেন, তিনি ডিআরএস নিয়মটাই ভাল ভাবে জানতেন না। তাই গণ্ডগোলটা করে ফেলেছেন।