সস্মিতা এবং কমলা দেবী দিলেন দশ গোল।
সুনীল ছেত্রীরা ইনচিওনে পা রাখার আগেই এশিয়ান গেমসে গোলের বন্যা ভারতীয় ফুটবল দলের। তবে এই চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পিছনে উইম কোভারম্যান্সের কোনও হাত নেই। আছে তরুণ রায়ের পরিশ্রম। ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ। যাঁর দল রবিবার গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচেই মলদ্বীপকে ১৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল। আজ, সোমবার সুনীলদের কোচ কোভারম্যান্সের পরীক্ষা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে।
ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের ঐতিহাসিক পারফরম্যান্স থেকে অবশ্য উদ্বুদ্ধ হতে পারেন কোভারম্যান্সের ছেলেরা। এশিয়ান গেমসে এ রকম স্কোরলাইন তো আর রোজ রোজ দেখা যায় না! ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ তরুণ রায় বলছিলেন, “যে কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। কিন্তু এই ম্যাচের যা ফলাফল হল, তার পরে আর পিছনে ফিরে তাকানোর উপায় নেই। আমরা শনিবার দুপুরে এসেছি। মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার প্রস্তুতিতে যে মানসিক দৃঢতার পরিচয় দিল আমার মেয়েরা, তা অসাধারণ।”
এশিয়ান গেমসের পরের ম্যাচে আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবেন ভারতীয় মেয়ে ফুটবলাররা। এই ম্যাচ সম্ভবত তাঁদের গ্রুপের অন্যতম কঠিন ম্যাচ। আর সেটা ভেবেই হয়তো পনেরো গোল করেও বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই ভারতীয় শিবিরে। বরং সতর্ক তরুণবাবু বলেছেন, “পরের ম্যাচটা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ার অন্যতম সেরা দল। পনেরো গোল করে ফুটবলাররা যাতে আত্মতুষ্ট হয়ে না পড়ে, সেটা আমাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।” রবিবারের ম্যাচে যে ফুটবল উপহার দিলেন কমলা দেবীরা, তা দেখে ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তও ইনচিওন থেকে ফোনে বলছিলেন, “ভারতীয় মেয়েরা শুধু গোল করেনি। আধুনিক ফুটবল খেলেছে। যেটা দেখে সবাই মুগ্ধ।” এ দিনের ম্যাচে পাঁচটা করে গোল করেছেন সস্মিতা মালিক ও কমলা দেবী। জোড়া গোল বালা দেবীর। একটি করে গোল অধিনায়ক বেমবেম দেবী, প্রমেশ্বরী দেবী ও আশালতা দেবীর।
ভারতীয় মেয়েরা উদ্বোধনী ম্যাচেই সুপারহিট। এখন এই জয়ের ধারা সুনীল-রবিনরাও এশিয়ান গেমসে ধরে রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখার। তবে ব্যর্থ হলে কোভারম্যান্সের মেয়াদ কিন্তু অক্টোবরেই শেষ হয়ে যেতে পারে! তাই বলা যেতেই পারে, আজ থেকেই শুরু সুনীলদের কোচের চূড়ান্ত পরীক্ষা।