Sports News

গুরুত্বহীন ম্যাচ জমিয়ে দিল গোয়া-চেন্নাই

একটা, দুটো নয় আইএসএল-এর ইতিহাসে এত গোলের ম্যাচ আগে কখনও হয়নি। বৃহস্পতিবার সেই হাই স্কোরিং থ্রিলার দেখল গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়াম। এক ম্যাচে হল ন’গোল। এ এক দম বন্ধ করা উত্তেজনার ম্যাচ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:০৫
Share:

শেষ গোলের পর তাভোরাকে ঘিরে দলের উচ্ছ্বাস। ছবি: ফেসবুক।

গোয়া ৫ (রাফায়েল-২, জোফ্রে, তাভোরা-২)

Advertisement

চেন্নাই ৪ (লালরিনজুয়ালা, আর্নোলিন-সেম সাইড, ডুডু, রিস)

একটা, দুটো নয় আইএসএল-এর ইতিহাসে এত গোলের ম্যাচ আগে কখনও হয়নি। বৃহস্পতিবার সেই হাই স্কোরিং থ্রিলার দেখল গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়াম। এক ম্যাচে হল ন’গোল। এ এক দম বন্ধ করা উত্তেজনার ম্যাচ। গোল পাল্টা গোলে জমে গেল এমন দুটো টিমের ম্যাচ যাদের আর শেষ চারে পৌঁছনোর কোনও শাই নেই। খেলাই বলে দিল খোলা মনে খেললেন দু’দলের ফুটবলাররা। প্রতি মুহূর্তে বদলে গেল ম্যাচের রং। শুরু করেছিল চেন্নাই, শেষ করল গোয়া। ৫-৪ গোলে জিতে নিল গুরুত্বহীন ম্যাচ। হয়তো বা এই জয়টাই জিকোর দলের জন্য স্বান্তনা।

Advertisement

ম্যাচ শুরুর চার মিনিটের মধ্যেই জেরি লালরিনজুয়ালার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়ান এফসি। কিন্তু এক মিনিটের মধ্যেই গোয়াকে সমতায় ফেরান রাফায়েল কোয়েলহো। পুরো ম্যাচে দুটো বড় ভুল করে এফসি গোয়া। যে ভুলের জন্য হেরেই যেতে পারত জিকোর ছেলেরা। যা কাজে লাগাতে ব্যর্থ চেন্নাইও। আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ে শেষ মুহর্তে তাভোরার দুরন্ত গোলে জিতে সেই ভুলগুলো ঢেকে দিল গোয়া।

গোয়া-চেন্নাই ম্যাচের একটি মুহূর্ত।

প্রথম ভুল সেম সাইড। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে গোয়া সমতায় ফিরলেও ১৩ মিনিটে গ্রেগরি আর্নলের সেম সাইড গোলে আবার এগিয়ে যায় চেন্নাই। এর পরই পেনাল্টি পেয়ে যায় গোয়া। ২-২ করতে একটুও সমস্যা হয়নি জোফ্রের। ২৮ মিনিটে ডুডুর গোলে আবার এগিয়ে যায় চেন্নাই। এর পর সুযোগের আসা যাওয়া চলতেই থাকে। প্রথমার্ধে পাঁচ গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে অপেক্ষা করছিল আরও বড় নাটক। মান্দার রাও দেশাইকে তুলে মাঝমাঠে জিকো নিয়ে আসেন সাহিল তাভোরাকে। আর শেষ বেলায় বাজিমাত করে যান জিকোর এই পরিবর্তন।

৬৮ মিনিটে দলকে ৩-৩ করে সমতায় ফেরানোর পাশাপাশি নিজের নামের পাশেও গোল লিখে নেন তাভোরা। ৭৬ মিনিটে এই প্রথম গোয়াকে এগিয়ে দেন রাফায়েল কোয়েলহো। ম্যাচের ফল যখন ৪-৩ তখনই হাতে বল লাগিয়ে চেন্নাইকে পেনাল্টি পাইয়ে দেন রাজু গায়কোয়াড়। এটা ছিল গোয়ার দ্বিতীয় ভুল। পেনাল্টি থেকে গোয়াকে সমতায় ফেরান রিস। ম্যাচ তখন ৮৮ মিনিট। এর পরও বাকি ছিল নাটক। সবাই যখন ভাবছে ম্যাচের ফল ৪-৪ তখনই এই ম্যাচের সেরা চমকটি দিয়ে গেলেন তাভোরা। সঞ্জয় বালমুচুর থেকে বল পেয়ে তাভোরার দূর পাল্লার শট পোস্টে ধাক্কা খেয়ে চলে যায় গোলে। আর তখনই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি।

আরও খবর

সেমিফাইনাল থেকে এক জয় পিছনে নর্থ-ইস্ট

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন