দুই মণিপুরি মহিলা বাল্যবন্ধু বক্সারের কাহিনি হয়তো এশিয়ান গেমসে সবচেয়ে বেশি আবেগের জন্ম দিয়েছে। যার জেরে এক বন্ধু অন্য জনের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। মেরি কম এবং সরিতা দেবী।
২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ভারতীয় মেয়েদের বক্সিং ইতিহাসে প্রথম পদকজয়ী মেরি তার পরে ইনচিওন এশিয়াডেই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নামেন এবং সেখানেও নজির গড়ে প্রথম ভারতীয় মেয়ে বক্সার হিসেবে গেমসে সোনা জেতেন। ফ্লাইওয়েট ফাইনালে কাজাখ প্রতিপক্ষ জাইনাকে হারিয়ে। সরিতাকে ঘিরে আবার বিতর্ক সৃষ্টি হয় এশিয়াডে তাঁর ব্রোঞ্জ পদক প্রত্যাখ্যানকে ঘিরে।
লাইটওয়েট সেমিফাইনালে উদ্যোক্তা দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে তাঁকে বিচারকরা ‘জোচ্চুরি’ করে হারান, এই অভিযোগে সরিতা পুরস্কার মঞ্চে তাঁর ব্রোঞ্জ পদক নিতে অস্বীকার করেন। এমনকী নিজের হাতে তা চতুর্থ স্থান পাওয়া প্রতিযোগীর গলায় পরিয়ে দেন। যার রেশ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত নিজের এবং ভারতীয় বক্সিং সংস্থা এমনকী ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা সাসপেন্ড হতে পারে দেখে সরিতা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পদক ফেরত নেন।
যদিও ইম্ফলে ফিরে সরিতা বীরের সংবর্ধনা পান। সরিতার প্রতি এশিয়াডে অবিচার হয়েছে সেটা মেনে নিয়েছেন মেরি কম-ও। কিন্তু এটাও বলেছেন, “তবে আমার বাল্যবন্ধুর প্রতিবাদের ধরনটাকে সমর্থন করতে পারছি না। আমি হলে হয়তো অন্য ভাবে প্রতিবাদ জানাতাম। ওই ভাবে পদক প্রত্যাখান করে সেটা অন্যকে পরিয়ে আসাটা উচিত হয়নি। সরিতা প্রয়োজনে পদক-মঞ্চে না গেলেই পারত!”