বিশ্ব মিটে স্বপ্ন সত্যি লক্ষ্মণনের

বিদায়ী বিশ্বমিটে নিজের শেষ রেসের হিটে কেমন দৌড়লেন মো? গোবিন্দন বলেন, ‘‘আমি নিজের দৌড়ের উপরই ফোকাস করছিলাম। তাই লক্ষ্য করিনি মো কী ভাবে দৌড়চ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫০
Share:

থলিট গোবিন্দন লক্ষ্মণন।

বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে পাঁচ আর দশ হাজার মিটার দৌড়ে কিংবদন্তি মো ফারা-র সঙ্গে একই ইভেন্টে দৌড়নোর সুযোগ সব ভারতীয় অ্যাথলিটের হয় না। ভারতের পাঁচ হাজারের মিটারের অ্যাথলিট গোবিন্দন লক্ষ্মণন সেই সুযোগ পেয়ে আপ্লুত।

Advertisement

পাঁচ হাজার মিটারের হিটে গোবিন্দন নিজের সেরা সময় করলেন ১৩ মিনিট ৩৫.৬৯ সেকেন্ড সময় করে। তবুও ফাইনালে উঠতে পারলেন না তিনি। নিজের হিটে ১৫ নম্বরে এবং সব মিলিয়ে ৩১ নম্বরে শেষ করেন তিনি। তবুও হতাশ শোনাচ্ছে না তাঁর গলা। ‘‘এটাই মো ফারা-র শেষ দৌড়। আর ট্র্যাকে ওকে দেখা যাবে না। তাই মো-র সঙ্গে একই ইভেন্টে দৌড়নোর সুযোগ পেয়ে একটা স্বপ্ন সত্যি হল। দারুণ লাগল। সারা জীবন এই অভিজ্ঞতাটা মনে থাকবে,’’ বলেন গোবিন্দন।

বিদায়ী বিশ্বমিটে নিজের শেষ রেসের হিটে কেমন দৌড়লেন মো? গোবিন্দন বলেন, ‘‘আমি নিজের দৌড়ের উপরই ফোকাস করছিলাম। তাই লক্ষ্য করিনি মো কী ভাবে দৌড়চ্ছিল। তবে ওর সঙ্গে দৌড়ে ভাল লেগেছে।’’ লক্ষ্মণনের কোচ সুরেন্দ্র সিংহ খুব খুশি তাঁর ছাত্র ব্রিটিশ কিংবন্তির সঙ্গে দৌড়নোর সুযোগ পেয়েছেন বলে। এই অভিজ্ঞতা পরের বছর কমনওয়েলথ গেমসে লক্ষ্মণনকে আরও ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি লক্ষ্মণনকে বলেছিলাম লন্ডনে তোমার সামনে জাতীয় রেকর্ড ভাঙার দারুণ সুযোগ রয়েছে। কম তাপমাত্রা থাকলে দূরপাল্লার অ্যাথলিটদের জন্য খুব সুবিধে হয়। তা ছাড়া শুধু মো নয়, কেনিয়া, ইথিওপায়া আর বিশ্বের অন্য সেরা অ্যাথলিটদের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছিল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: শামি-ভুবিদের কৃতিত্ব উমেশের

লক্ষ্মণনের কোচ তাঁকে বলেছিলেন বাহাদুর প্রসাদের পঁচিশ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে নামতে। যে রেকর্ড ১৩ মিনিট ২৯.৭০ সেকেন্ডের। ছাত্রকে তাই বলেছিলেন সুরেন্দ্র, ‘‘এ রকম পরিবেশেই তোমার নিজের রেকর্ড আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। যেখানে খুব কড়া লড়াইও হবে। এখানে অবশ্য ও পারল না। তবে ভবিষ্যতে ঠিক পারবে।’’

লক্ষ্মণনের নায়ক মো ফারা আবার পাঁচ হাজার মিটারে সোনা জেতার দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। ফাইনালে উঠলেন সব মিলিয়ে ১১ নম্বর স্থানে। সময় নিলেন ১৩:৩০.১৮। তবে শেষ দৌড়ে সোনা জিতে শেষ করতে পারবেন কি না তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিশেষ করে তাঁর বন্ধু ইউসেইন বোল্ট যে ভাবে হেরেছেন তার পরে। ফারাও জানেন চ্যালেঞ্জটা সোজা নয়। তিনি বলছেন, ‘‘সহজ হবে না ফাইনালে লড়াইটা। ইউসেইন বোল্টকে দেখেই সেটা বলা যায়। তবে এ রকম হয়। খুব খুশি হতাম ইউসেইন সোনা জিতে শেষ করতে পারলে। সে রকমই আশা করেছিলাম। কিন্তু সেটা হল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন