কাপ-হ্যাটট্রিকের জন্য পুরনো অস্ত্রেই শান দিচ্ছেন হরভজন

অফ ব্রেক আর দুসরাতেই মাতিয়ে আসছেন ১৫ বছর ধরে। ক্যারম বলের মতো নতুন কোনও অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার তাগিদ নেই হরভজন সিংহর। তাঁর চিরকালের পুরনো অস্ত্র নিয়েই বিশ্বকাপ জয়ের হ্যাটট্রিকের দিকে তাকিয়ে ‘টার্বানেটর’।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:২৯
Share:

অফ ব্রেক আর দুসরাতেই মাতিয়ে আসছেন ১৫ বছর ধরে। ক্যারম বলের মতো নতুন কোনও অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার তাগিদ নেই হরভজন সিংহর। তাঁর চিরকালের পুরনো অস্ত্র নিয়েই বিশ্বকাপ জয়ের হ্যাটট্রিকের দিকে তাকিয়ে ‘টার্বানেটর’।

Advertisement

যদিও এখনও বিশ্বকাপের দলে থাকার নিশ্চয়তা পাননি। তবে অস্ট্রেলিয়াগামী টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়ায় হরভজন আশাবাদী, ওখানে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ দলেও জায়গা পাকা করে নেবেন। মঙ্গলবার সংবাদসংস্থাকে হরভজন বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে যথেষ্ট ভাল খেলেছি। এখন আমার ফোকাস ভারতের হয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছি (২০০৭ ও ২০১১)। এ বার জিতলে হ্যাটট্রিক হবে। তাই এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলতে পারলে তা আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল হয়ে উঠবে।’’

তবে এই সম্মান অর্জনের জন্য নিজেকে বদলাতে রাজি নন ‘টার্বানেটর’। নতুন কোনও ডেসিভারিও ঝুলি থেকে বার করতে চান না। এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ক্যারম বল বা সে রকম নতুন কিছু নিয়ে গবেষণা করার দরকার আমার আছে বলে মনে হয় না। আমার আসল যা অস্ত্র— অফ ব্রেক ও দুসরা, এগুলোই গত ১৫ বছর ধরে আমাকে সাফল্য দিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাতশোরও বেশি উইকেট কেউ তো আর আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’’

Advertisement

প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে চারটি ওয়ান ডে ম্যাচে ছ’টা উইকেট পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে দল থেকে বাদ পড়ে হয়তো দুঃখ পেয়েছেন ভাজ্জি। কিন্তু তা প্রকাশ করতে চান না। বরং যে ফর্ম্যাটে খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তা নিয়েই বেশি ভাবছেন।

প্রিয় বন্ধু আশিস নেহরার ভারতীয় দলে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত হরভজনের বক্তব্য, দেশের হয়ে খেলার জন্য বয়সটা কোনও ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নেহরা ২০০৩ ও ২০১১-র বিশ্বকাপে ছিল আমাদের সাফল্যের নেপথ্য নায়ক। তার পরেও দীর্ঘ চার বছর ওকে ভারতীয় দলের বাইরে বসে থাকতে হয়েছে। বয়স নয়, আমাদের ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। আমি আইপিএলে ভাল বল করেছি বলেই দলে জায়গা পেয়েছি। ৩৮-৩৯-এও যদি অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারি, তা হলে আমরা ৩৫-এই বা নই কেন? এমন তো নয় যে ৫০ পেরিয়ে গিয়েছি, হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। পারফর্ম তো করে চলেছি। এত দিন ধরে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেগুলো তো আর ফেলে দেওয়ার মতো নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন