৩২ বলে ৩৬।
তাঁর নিজের সর্বসেরা ফিনিশারের তকমার বেশির ভাগটা ফিকে হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কি সেই ব্যাটন এ বার জাতীয় দলের কোনও সতীর্থের হাতে তুলে দিতে চাইছেন?
ফিরোজশাহ কোটলায় বৃহস্পতিবার শেষ ওভারে মাত্র ছয় রানে ম্যাচ হেরে চলতি ওয়ান ডে সিরিজ ১-১ হয়ে পড়ার পরে ভারত অধিনায়কের কথাবার্তায় যেন সে রকমই ইঙ্গিত।
আর ধোনির সেই টিমমেটের নাম হার্দিক পাণ্ড্য হলে বোধহয় আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না!
এ দিন প্রয়োজনের সময় ধোনি ৩৯ রান তুলতে ৬৫ বল নিয়ে নেন, পাঁচ নম্বরে নেমে। তার পরে ম্যাচ-উত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে মুচকি হেসে সীমিত ওভারের অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘পাণ্ড্যকে ম্যাচ শেষ করতে শিখতে হবে।’’
আট নম্বরে নেমে হার্দিক পাণ্ড্য ৩২ বলে ৩৬ করে নয় নম্বর উইকেট হিসেবে যখন আউট হন, ভারতের ইনিংসের তখন ৭ বল বাকি। জিততে চাই ১১ রান। এর চার বল পরেই ইনিংস শেষ হয় ২৩৬ রানে। যার ভিত্তিতে ধোনিকে প্রশ্ন করা হয়, উমেশ যাদবের সঙ্গে ৪৮ বলে ৪৯ রান যোগ করার পরে হার্দিকের কি ম্যাচ শেষ করে আসা উচিত ছিল না? ক্যাপ্টেন কুল কি মনে করেন?
ধোনি স্বভাবসিদ্ধ নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘‘সেটা বললে ওর প্রতি খুব কঠোর হয়ে ওঠা হবে।’’ তার পর অবশ্য যোগ করলেন, ‘‘তবে হার্দিক সেটা করতে পারত। তার সুযোগও ছিল। আসলে ও রকম সময় আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কোন বোলারকে আপনি মারবেন? কোন বোলারের শেষ বল পর্যন্ত রান তোলার সুযোগ রয়েছে?’’ এই বলে ধোনি সম্ভবত হার্দিককে এই বার্তা দিলেন যে, ৪৯তম ওভারটা ট্রেন্ট বোল্টকে সামলে নিয়ে শেষ ওভারে তাঁর সাউদির ছ’টা বলকে আক্রমণ করা বেশি দরকার ছিল।
ধোনি আরও বললেন, ‘‘তবে দল যখন প্রচণ্ড চাপে সেই সময় কোনও তরুণের ব্যাটসম্যানের ক্রিজে থাকার সুযোগটা তার কাছে একটা বিরাট অভিজ্ঞতা। এ রকম পরিস্থিতি তাকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। যেমন হার্দিককে শিখতে হবে কী করে ম্যাচ শেষ করে আসতে হয়। ও আস্তে আস্তে শিখে যাবে যে, ম্যাচ তাড়াতাড়ি শেষ করতে যাওয়া ভাল, না তার জন্য শেষ ওভারের অপেক্ষায় থাকা আরও ভাল?’’