নর্টন দে মাতোস। —ফাইল চিত্র।
তাঁর হাতেই এই ভারতীয় দল ছুটছে দুরন্ত গতিতে। তাঁর ফুটবল শিক্ষাতেই ১৬-১৭ বছরের ছেলেরা চোখে চোখ রেখে লড়াই দিচ্ছে ইউএসএ, কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে। হেরেও যারা পরের কঠিনতম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ের হুঙ্কার দিচ্ছে। সেই নর্টন দে মাতোস আজ বেজায় খুশি। সরাসরি ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট কেটে ফেলেছে তাঁর দেশ। ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো পর্তুগাল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের পরের দিনই পর্তুগাল কোচের ভারতীয় দল খেলতে নামছে মরনবাচন লড়াইয়ে। ঘানার বিরুদ্ধে জয় প্রায় অসম্ভব। হারলে ছিটকে যাওয়া। পর্তুগালের বিশ্বকাপে সরাসরি পৌঁছে যাওয়ার আবেগ তাই মাতোসের চোখেমুখে এখনও লেগে। আর এই আবেগটাকেই বয়ে নিয়ে যেতে চান আরও ২৪ ঘণ্টা। ঠিক ততক্ষণ যতক্ষণ না শেষ বাঁশি বাজছে। জিকসনের গোল থেকে আজ পর্তুগালের রাশিয়ার টিকিট নিশ্চিত করে ফেলা, সবটাই বেশ ঘোরে রেখেছে পর্তুগীজ কোচকে। তাই হয়তো খুশিটা চেপে রাখতে পারলেন না। বলছিলেন, ‘‘আমি খুব খুশি, কিন্তু আমি অবাক নই একটুও।’’
আরও পড়ুন
আনোয়ার-অমরজিতের চোটে, সমস্যায় ভারত
পর্তুগালের এই আত্মবিশ্বাস একদিনে হয়নি সেটাও মনে করিয়ে দিলেন মাতোস। তুলনা টানলেন ভারতের সঙ্গেও। ঠিক কীভাবে ধিরে ধিরে নিজেদের এই পর্যায়ে তুলে এনেছেন সেটা সামনে থেকে দেখেছেন ভারতের কোচ। ৩০ বছর আগের পর্তুগাল আর আজকের পর্তুগালের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার জন্যই। মাতোস বলছিলেন, ‘‘৩০ বছর আগে পর্তুগাল এমন ছিল না। আটের দশকে এসে গ্রাসরুট ফুটবল শুরু হয় দেশে। তার পর ফিগো থেকে রোনাল্ডোরা বিশ্ব ফুটবলে দেশকে নিয়ে যায়।’’ এখানেই শেষ নয় পর্তুগাল ফুটবলের এই উত্থানের পিছনের কাহিনী আরও আছে, যা শোনালেন মাতোস স্বয়ং। তিনি বলেন, ‘‘সেই সময় থেকেই সব ক্লাবে শুরু অ্যাকাডেমি। সঙ্গে সব বয়সভিত্তিক দল। একটা সময় বিদেশি দলের সঙ্গে খেলতে রীতিমতো ভয় পেত পর্তুগাল। গুটিয়ে থাকত। কিন্তু আজ চিত্রটাই বদলে গিয়েছে।’’
মাতোসের কথায়, সব হারই এক একটা শিক্ষা পর্তুগাল শিখেছে এ বার ভারতও শিখবে। একটা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যাওয়া।