হতাশ: ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের পরে ওয়েঙ্গার। ছবি: রয়টার্স
তাঁর স্বপ্ন ছিল ইউরোপা কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আর্সেনাল থেকে বিদায় স্মরণীয় করে রাখা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে আর্সেন ওয়েঙ্গারের স্বপ্নভঙ্গ করে দিলেন দিয়েগো কোস্তা।
আর্সেনালে ২২ বছরের কোচিং জীবনে তিন বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন। সাত বার এফ এ কাপে চ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা ইউরোপা লিগ কখনও জিততে পারেননি। তাই এই মরসুমে ইউরোপা লিগ জিততে মরিয়া ছিলেন কিংবদন্তি ফরাসি ম্যানেজার। কিন্তু সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে আতলেতিকো দে মাদ্রিদের বিরুদ্ধে হেরে তাঁর সব আশা শেষ হয়ে গেল। প্রথম পর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে আলেকজান্দ্রে ল্যাকাজেতের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। দশ জন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ম্যাচ শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে সমতা ফেরান আতলেতিকো দে মাদ্রিদ স্ট্রাইকার আঁতোয়া গ্রিজম্যান। আর বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে গোল করে আতলেতিকো দে মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন কোস্তা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আর্সেনাল। ম্যাচের পরে ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘‘আমি প্রচণ্ড হতাশ। ১৮০ মিনিট খেলার পরে কোনও টুর্নামেন্ট থেকে যদি ছিটকে যেতে হয়, তা হলে সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমার মনে হয় ক্লাবের উচিত এখন থেকেই আগামী মরসুম নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা।’’
আর্সেনালের ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে রবিবারই শেষ বারের মতো রিজার্ভ বেঞ্চে বসবেন ওয়েঙ্গার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মেসুত ওজিলরা খেলবেন বার্নলির বিরুদ্ধে। কিংবদন্তি ম্যানেজারকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে সমর্থকদের। কিন্তু ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালে হারের যন্ত্রণায় ওয়েঙ্গার অবশ্য তা নিয়ে ভাবছেন না। এমনকী, নিজের কোচিং ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে চান না তিনি। বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার মতো জায়গায় নেই। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে। এ ভাবে আর্সেনাল ছাড়তে আমি চাইনি।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘ফুটবল যেমন সুন্দর, তেমন নির্মমও। প্রথম পর্বে আমরা ১-০ এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও জিততে পারিনি বাজে গোল খাওয়ায়। এই ম্যাচেও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে গোল খেলাম। এই ব্যাপারগুলোই পার্থক্য গড়ে দেয়।’’