জিততেই হবে! সংযম আর শৃঙ্খলায় বিরাট ব্যতিক্রম

লাঞ্চ থেকে ডিনার টানা দু’মাস মেনুর বদল নেই। টিমের বাকি সদস্যদের প্লেটে যখন রুটি বা ভাতের রাজত্ব, তিনি তখন বেকড বিন্‌স, স্যামন, স্যালাড দিয়েই পেট ভরিয়েছেন। কালে ভদ্রে প্লেটে ঠাঁই পেয়েছে সামান্য একটু গ্রিলড চিকেন। ব্যস। এক সতীর্থ প্রশ্ন করেছিলেন, “এই কঠিন কাজটা দিনের পর দিন করো কী করে?” উত্তরটা এসেছিল চমকপ্রদ— “ভারতের জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা কি খুব সহজ?” উত্তরদাতা এই মুহূর্তে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যটসম্যান বিরাট কোহলির।

Advertisement

কুন্তল চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৪
Share:

লাঞ্চ থেকে ডিনার টানা দু’মাস মেনুর বদল নেই। টিমের বাকি সদস্যদের প্লেটে যখন রুটি বা ভাতের রাজত্ব, তিনি তখন বেকড বিন্‌স, স্যামন, স্যালাড দিয়েই পেট ভরিয়েছেন। কালে ভদ্রে প্লেটে ঠাঁই পেয়েছে সামান্য একটু গ্রিলড চিকেন। ব্যস। এক সতীর্থ প্রশ্ন করেছিলেন, “এই কঠিন কাজটা দিনের পর দিন করো কী করে?” উত্তরটা এসেছিল চমকপ্রদ— “ভারতের জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা কি খুব সহজ?” উত্তরদাতা এই মুহূর্তে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যটসম্যান বিরাট কোহলির।

Advertisement

তাঁর প্রতিভা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ ছিল না। গত তিন-চার বছর ধরে আরও পরিণত হয়েছেন তিনি। মীরপুরে ভয়ঙ্কর পাক পেস ব্যাটারিকে সামলে দলকে জয়ের রাস্তায় এনে সেই পরিণতিবোধকেই আরও কয়েক ধাপ ওপরে উঠিয়েছেন বিরাট। এই বয়সের এক ক্রিকেটার যে কতটা শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে পারে, বিরাটকে না দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। ফিট থাকতে দু’মাস দীর্ঘ ইংল্যান্ড সফরে প্রতি দিন একই খাবার খেয়ে গিয়েছেন তিনি। বিরাটের সতীর্থদের মতে, দিল্লির তরুণ এমনই এক ক্রিকেটার, যিনি কোনও দিন প্র্যাকটিসে দেরি করেন না। সব সময়েই চেষ্টা করেন আরও বেশি ক্ষণ নেটে সময় দিতে। কোচ এবং ভিডিও অ্যানালিস্টের পিছনে লেগে থাকেন নিজের ভুল খুঁজে দিতে।

ভারত সফররত এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক এক বার বিরাটকে প্রশ্ন করেছিলেন, “কী করে বড় ম্যাচগুলোর জন্য নিজেকে তৈরি করেন করেন? প্রতিটা বড় টুর্নামেন্টে এত ভাল পারফর্ম করার রহস্য কী?” দিল্লির তরুণের ব্যখ্যা ছিল, “টাফ শহরে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা আমায় খুব সাহায্য করেছে।”

Advertisement

মীরপুর ম্যাচের পর পাক কোচ ওয়াকর ইউনিস বলেন, “কোহলি এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এমনই এক জন যে হারতে একেবারেই অপছন্দ করে। বিপক্ষকে সব সময়েই চাপে রাখে।” বিরাট নিজেও বহু বার বলেছেন যে, হারতে তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না। আর এটাই তাঁর সফল্যের বীজমন্ত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement