Sports News

আইএসএল খেললেও রবিনের মন আই লিগেই

মূল ফোকাস অবশ্যই এটিকে। তার উপর চ্যাম্পিয়ন টিমের হয়ে খেলতে নামা। তাই হয়তো দায়িত্বটাও অনেক বেশি টিএফএ-র এই প্রাক্তনীর। যে কারণে স্ট্র্যাটেজির প্রসঙ্গ উঠলেই, সেটা ‘ড্রেসিংরুমের অন্দরের কথা’ বলে এড়িয়ে গেলেন দিল্লির এই ছেলে।

Advertisement

সুচরিতা সেন চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ২০:০৯
Share:

সাংবাদিক সম্মেলনে রবিন সিংহ ও জিকুইনহা। —নিজস্ব চিত্র।

যে কলকাতা থেকে পেশাদার ফুটবল শুরু করেছিলেন ঘুরে আবার সেই শহরেই রবিন সিংহ।

Advertisement

আবির্ভাবেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সাফল্যের তুঙ্গে। মাঝের সময়টা চোট, আঘাতে কিছুটা পিছিয়েও পড়েছিলেন। কিন্তু, ফিরছেন আবার! এ বার কলকাতার হাত ধরে। সেই চেনা শহর, চেনা ফুটবল, সমর্থকরাও কী চেনা হবেন? সেটা এখনও জানেন না।

কলকাতায় প্রথম ম্যাচের পরেই বুঝতে পারবেন, ইস্টবেঙ্গলে থাকার সময় যে ভাবে সমর্থকদের আবেগে ভাসতেন, এটিকের হয়েও তেমনটা পাচ্ছেন কি না। কিন্তু যেটাই হোক না কেন, নিজের সেরাটা দিতে বদ্ধপরিকর তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন

আইএসএল-এর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ তিনিই

আইএসএল-এও এই নিয়ে তৃতীয় দল। বুধবার বিকেলে সতীর্থ জিকুইনহাকে সঙ্গে করে টিম হোটেলের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের এই স্ট্রাইকার। বিদেশি স্ট্রাইকারদের ভিড়ে তিনি যে এখনও জায়গা করে নিতে পারেন, সেটাকেই এগিয়ে রাখছেন রবিন। তাঁর কথায়, ‘‘আইএসএল-এ তিনটি দলে খেলেছি কিন্তু ভারতীয় ফুটবল সর্বত্রই এক। শুধু জার্সিটা বদলে যায়। নতুন করে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু, সব নতুন মরসুমই একটা নতুন চ্যালেঞ্জ।’’

ভারতে প্রথম খেলতে এসে উচ্ছ্বসিত জিকুইনহাও। প্রথম ম্যাচে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। কিন্তু এই ম্যাচে ঘরের মাঠে গোল করতে মরিয়া তিনি বললেন, ‘‘ভারতে আমার প্রথম খেলা। দারুণ অভিজ্ঞতা। এখানকার সমর্থকরা দারুণ। দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করতে চাই।’’

এ ভাবে চার মাসের দীর্ঘ লিগ আইএসএল-এ আগে হয়নি। পাশাপাশি একই সময়ে আই লিগ, এটাও আগে হয়নি কখনও। যদিও দীর্ঘ লিগকে সমর্থনই করছেন রবিন। তাঁর মতে, ‘‘চার মাস ধরে টুর্নামেন্ট চলাটা খুবই ভাল। প্রস্তুতির জন্য আমরা অনেক সময় পাব। নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরে নিতে পারব।’’ তার মধ্যেই রবিন কিন্তু আই লিগ দেখবেন সুযোগ পেলে। আই লিগ দিয়েই তো পেশাদার ফুটবলে উঠে আসা। এই লিগই যে তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে ক্লাবের জার্সিতে। তাই হয়তো সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নিজের ইচ্ছের কথাটা লুকিয়ে রাখলেন না। বললেন, ‘‘আই লিগে আমার বন্ধুরা খেলবে। আমি সুযোগ পেলেই দেখব।’’

আরও পড়ুন

জামশেদপুরের হয়ে খেলতে পেরে নস্টালজিক সুব্রত

মূল ফোকাস অবশ্যই এটিকে। তার উপর চ্যাম্পিয়ন টিমের হয়ে খেলতে নামা। তাই হয়তো দায়িত্বটাও অনেক বেশি টিএফএ-র এই প্রাক্তনীর। যে কারণে স্ট্র্যাটেজির প্রসঙ্গ উঠলেই, সেটা ‘ড্রেসিংরুমের অন্দরের কথা’ বলে এড়িয়ে গেলেন দিল্লির এই ছেলে। নিজেদের শক্তি, নিজেদের ত্রুটি নিয়েও তাই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ তিনি। অন্য টিমের শক্তি-দুর্বলতা নিয়েও তাই ভাবতে চান না। শুধু প্রতি দিন, প্রতি ম্যাচ থেকে নিজেকে আরও তৈরি করতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্রতি দিন সকালে উঠি কিছু শেখার জন্য। শুরু থেকে আজ যেখানে পৌঁছেছি অনেকের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’’

এর মধ্যেই রবি কিনকে মিস করছেন জিকুইনহা। তাঁর কথায়, ‘‘রবি কিন থাকলেও আমরা হারতে পারতাম। কারণ এটা ফুটবল। এখানে যা কিছু হতে পারে। কিন্তু রবি কিনের মতো এক জন প্লেয়ার যত তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে তত ভাল। দলের কাজে লাগবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন