মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে সংবর্ধনা নিচ্ছেন ঝুলন গোস্বামী। ছবি: পিটিআই।
অনেক সাফল্য, অনেক ব্যর্থতা দেখতে দেখতেই বিশ্ব মহিলা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে ওঠা। কিন্তু নিজের পারফর্ম্যান্স যখন তলানিতে এসে ঠেকে তখন যেন নিজেকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে ঝুলন গোস্বামীর। শাস্তিটা যেন নিজেই যেতে নিতে চান নিজের কাঁধে। তাই বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে খারাপ পারফর্ম্যান্সের পর নিজেই কোচের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, দল থেকে বাদ দেওয়া হোক তাঁকে।
আরও পড়ুন
বোলিংয়ের সঙ্গে সেরা টেস্ট অল-রাউন্ডারও জাডেজা
ঝুলনের মতো বোলার হতে চান কাশ্মীর-কন্যা
মঙ্গলবার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে সেই কথাই শোনালেন স্বয়ং ঝুলন গোস্বামী। বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের শুরুর দিকের ম্যাচ খেলে আমি খুব হতাশ ছিলাম নিজের খেলায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর আমি কোচকে বলেছিলান, আমি ভাল বল করতে পারছি না। আপনি আমাকে পরের ম্যাচে বসিয়ে দিতে পারেন।’’ তা শুনে অবশ্য কোচ জানিয়েছিলেন, তিনি ঝুলনকেই চান ভারতের বোলিং অ্যাটাকের নেতৃত্বে। ঝুলনকে আবার ফর্মে ফেরাতে সাহায্য করেছিল কোচের ভোকাল টনিক। ঝুলন বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওরা বিশ্বের সেরা দল। ল্যানিং সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন। আমি চেষ্টা করছিলান সঠিক জায়গায় বল রাখতে।’’ সেই মেগ ল্যানিংকেই খাতা খুলতে দেননি ঝুলন।
ঝুলন বলেন, ‘‘আমি মিতালিকে বলেছিলাম, আমি ল্যানিংকে এমনভাবে বল করব যাতে ওই আমাকে আমার বলের ফিডব্যাক দেবে। এবং যেমন ভেবেছিলাম ঠিক তেমনই হয়েছে।’’ প্রথম দুই ম্যাচে কোনও উইকেট পাননি ঝুলন। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঝুলনের বোলিং ছিল ০/৩৯ ও ০/৩৭। কিন্তু যখন শেষ করলেন তখন তাঁর নামের পাশে সাত ম্যাচে ১০ উইকেট।