উত্তপ্ত সেই মুহূর্ত।-রয়টার্স
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের দুঃস্বপ্ন যেন কাটছেই না! একে তো জয়ের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় ছিন্ন হতে বসেছে জোসে মোরিনহোর টিমের। তার উপর দলের অন্যতম প্রধান ফুটবলারের উপর ইউরোপা লিগ থেকে নির্বাসনের খাঁড়া ঝুলছে।
ফেনারবাচের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগ ম্যাচে ১-২ হারে ম্যাঞ্চেস্টার। তুরস্কে সেই ম্যাচে বিপক্ষ প্লেয়ারের গলা টিপে ধরেন জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি পল পোগবার পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন জ্লাটান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ফেনারবাচের ড্যানিশ ডিফেন্ডার সাইমন কায়েরের সঙ্গে।
ঘটনাটা কী?
বলটা মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কায়েরেকে ল্যাং মেরে ফেলে দেন জ্লাটান। দিয়ে নিজে তাড়াতাড়ি থ্রো-ইন নিতে যান। কায়ের তাঁকে বাধা দিতে গেলে তাঁর গলা টিপে কানের কাছে চিৎকার করতে থাকেন প্যারিস সাঁ জাঁর প্রাক্তন ফুটবলার। তিনি কেন এ রকম করেছেন, কোনও কারণ জানা যায়নি।
মাঠে এই ঘটনার জেরে তৎক্ষণাৎ কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কারণ, ফোর্থ অফিশিয়াল দুই প্লেয়ারকে ঠান্ডা করিয়ে ছাড়াতে ছাড়াতে ম্যাচের রেফারি আর ঘটনাটা খেয়ালই করেননি। কিন্তু টিভি ফুটেজে পুরো ঘটনাটাই দেখা যায়। যার ভিত্তিতে উয়েফা জ্লাটানকে শাস্তি দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ তো এমনও বলছেন যে, ইউরোপা লিগ থেকেই সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারেন সুইডিশ তারকা। যা হলে ম্যাঞ্চেস্টার নিঃসন্দেহে আরও সমস্যায় পড়বে।
মাঠে যদি ম্যাঞ্চেস্টারের অবস্থা এ রকম করুণ হয় তো মাঠের বাইরেও তাদের পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। বিশেষ করে জোসে মোরিনহোকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, তিনি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার মুখে। প্রকাশ্যে ফেলাইনি, পোগবার মতো ফুটবলারদের তুলোধোনা করছেন। বলে দিচ্ছেন, টিম নাকি তাঁর নির্দেশ মতো খেলছে না। ম্যাঞ্চেস্টারের মেডিক্যাল স্টাফের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা মনে করিয়ে দিচ্ছে চেলসিতে ডক্টর ইভা কার্নেরো বনাম মোরিনহো নাটক। রেফারিদের সঙ্গে ঝামেলা করছেন, তাঁর উষ্মা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিপক্ষ কোচেরাও। এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আবার মোরিনহো বলেছেন, ম্যাঞ্চেস্টারে তাঁর জীবন ‘বিপর্যস্ত’ হয়ে পড়েছে। তিনি নাকি স্বচ্ছন্দে কোনও কাজই করতে পারছেন না।
পর্তুগিজ কোচের ব্যাপারে বিখ্যাত একটি তত্ত্ব হল, যে কোনও ক্লাবে তৃতীয় মরসুমটা তাঁর খুব খারাপ যায়। এখন বলা হচ্ছে যে, ম্যাঞ্চেস্টারে সেই সময়টা বোধহয় দু’বছর আগেই চলে এসেছে!