ক্রিকেটের নিয়ম বদল করার জন্য আইসিসি-র টুইট। ছবি—আইসিসির টুইট থেকে।
দিন বদলাচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলাচ্ছে ক্রিকেটের নিয়মকানুনও। টি টোয়েন্টির আবির্ভাব ঘটেছে। রিভিউ সিস্টেম চালু হয়েছে।
ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করার চেষ্টায় খামতি নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য আরও কয়েকটি নিয়মের কথা আজ, সোমবার টুইট করে জানিয়েছে আইসিসি।
সেগুলো এরকম—
১) ওয়ানডে ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের জার্সির পিছনে নম্বর লেখা থাকে। টেস্টেও ক্রিকেটাররা জার্সিতে নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। তরুণদের কাছে ক্রিকেটকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ক্রিকেটারদের জার্সিতে সংখ্যার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও লেখা থাকবে।
২) টস করার জন্য কয়েন ব্যবহার করা হবে না। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টসের বদলে টুইটারে ভোট নেওয়া হবে। তার ফলে ক্রিকেটভক্তরা ঘরে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কারা ব্যাট করবে আর কারা ফিল্ডিং করবে।
৩) তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে আইসিসি টেস্ট ক্রিকেটারদের শর্টস পরে খেলার সুযোগ করে দেবে।
৪) ক্যাচ নেওয়ার পরে যে দল ফিল্ডিং করছে, সেই দলকে ডাবল উইকেট খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান ক্রিজের বাইরে থাকলে তাঁকে রান আউট করা যাবে।
৫) দিনরাত্রির টেস্টে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। ইভনিং সেশনে যে রান হবে, সেগুলো দ্বিগুণ হবে। যেমন চার মারলে আট রান আর ছয় মারলে ১২। অর্থাৎ এক বল থেকে সর্বোচ্চ ১২ রান সংগ্রহ করা যাবে।
৬) ক্রিকেটে দুটি নতুন নাম যোগ হবে। ‘নো বল’কে টেনিসের ভাষায় বলা হবে ‘ফল্টস’। আর ‘ডট বল’কে বলা হবে ‘এস’।
৭) ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান যদি মনে করে, তাহলে স্লিপের পিছনে ধারাভাষ্যকার রাখতে পারবে।
৮) সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবলে দুটো দেশের পয়েন্ট যদি সমান হয়, তা হলে ফুটবলে প্রচলিত অ্যাওয়ে নিয়ম কার্যকর হবে। অর্থাৎ বিপক্ষের মাঠে যারা বেশি রান তুলবে, তারাই জিতবে।
এই ধরনের মজার সব সিদ্ধান্ত এখনই হয়তো রূপায়ণ করা হবে না। আজ ১ এপ্রিল। দিনটার কথা মাথায় রেখেই কি এমনই সব সিদ্ধান্তের কথা টুইট করে জানাল আইসিসি? ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা অবশ্য টুইট করেই ছেড়ে দিয়েছে। এপ্রিল ফুল করার জন্য এমন সব মজার টুইট করেছে কি না, সে বিষয়ে নীরব থেকে গিয়েছে।