জয়ের পর উল্লাস। ছবি: এএফপি।
ভারত শেষ করেছিল ২৭২-এ। কিন্তু, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান তার জবাবে মাত্র ৬৯-এই সব উইকেট খুইয়ে বসল। ফলে পাকিস্তানকে অবলীলায় হারিয়ে অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ অষ্ট্রেলিয়া।
অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মাঠে নামে ভারত। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ভারত ২৭২ রান করে। পরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২৯ ওভার ৩ বলেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে। স্কোর বোর্ডে তখন তাদের রান মাত্র ৬৯।
ভারতের হয়ে এ দিনের সেরা ইনিংসটা খেলেছে শুভমান গিল। ৯৪ বলে তার ১০২ রানের ওই ইনিংসেছিল ৭টি চোখ ধাঁধানো বাউন্ডারি। তবে, তারও আগেম্যাচের মূল সুরটা বেঁধে দিয়েছিল ওপেনিং জুটি পৃথ্বী শ এবং মনজ্যোত কালরা। তাদের ৮৯ রানের পার্টনারশিপটাই যেন এ দিনের ম্যাচের ভিতটা তৈরি করে দিয়েছিল। পৃথ্বী ৪২ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে যায়।পৃথ্বীর রানআউটের পরই মনজ্যোতও প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়।৫৯ বলে সে করেছে ৪৭ রান। দলের সর্বমোট রান তখন ৯৪। মনজ্যোতের পরে নেমে ম্যাচের হাল ধরে নেয় শুভমান। শেষ পর্যন্ত নটআউট ছিল সে। পাকিস্তান যদিও দুটো ক্যাচ এবং দুটো রানআউটের সুযোগ মিস করে।
আরও পড়ুন, বিরাট, এবির সঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখতাম
ভারতের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী ঈশান পোড়েল। ছবি: এএফপি।
ভারতের ২৭২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই দিশাহারা দেখাচ্ছিল পাকিস্তানকে। পাক ক্রিকেটাররা ২৮ রান করতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে। তার পরেও উইকেট পতন থামেনি। ১০, ১৩, ২০, ২৮ রানের মাথায় উইকেট পতনের পর ফের ৩৭, ৪১, ৪৫ এবং ৪৮ রানে উইকেট পড়ে। বাকি দুটি উইকেট দলের ৬৮ এবং ৬৯ রানে পড়ে যায়। বাংলার ছেলে ঈশান পোড়েলের বোলিং দাপট এ দিন ছিল দেখার মতো। ১৭ রানে ৪টি উইকেট নেয় সে। এ ছাড়া দু’টি করে উইকেট নিয়েছে শিবা সিংহ এবং রিয়ান পরাগ।
সেঞ্চুরির পর শুভমান গিল। ছবি: এএফপি।
যাদের কাঁধে ভর করে ষষ্ঠ বারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে এ দিন পৌঁছল ভারত, তাদের বেশির ভাগই এ বারের আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবে। মোহালির ছেলে শুভমানও রয়েছে সেই তালিকায়। রয়েছে কমলেশ নাগরকোটি, শিভম মাভি-ও। আর হুগলির ছেলে ইশান নিজে তো কলকাতার মাঠেই বড় হয়ে উঠেছে। তাই ভারতের এ দিনের জয়ের সঙ্গে অনেকেই খুঁজে পেয়েছেন ‘কলকাতা কানেকশন’।