ধোনিতেই আস্থা শাস্ত্রীর। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপ জিততে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিতেই আস্থা রাখছেন ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রী। আজ, বুধবার ইংল্যান্ড রওনা হয়েছে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে শাস্ত্রী জানিয়েছেন, ধোনির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বিশ্বকাপে।
শুধুমাত্র উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরা বা স্টাম্পিং নয়, ধোনি দলে থাকা মানেই কোহালির স্বস্তি। আগেও অসহনীয় চাপের ম্যাচে ভারত অধিনায়ককে কখনও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে অথবা ম্যাচের রাশ নিজের হাতে নিয়ে ‘ম্যাজিক’ দেখিয়েছেন ধোনি। এ বারের বিশ্বকাপেও তাঁকে একই ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন ধোনি। অনেকেই এখন ডিআরএস-কে ডিশিসন রিভিউ সিস্টেম না বলে ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’ বলছেন। রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোহালি তাকিয়ে থাকেন ধোনির দিকেই। ধোনি বললে তবেই রিভিউ নেন ভারত অধিনায়ক। বিশ্বকাপেও ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে কোহালি তাকিয়ে থাকবেন ধোনির দিকে।
আরও খবর: ‘ম্যাগি ম্যান’ থেকে ‘হিট ম্যান’, রোহিতের এই নাম পরিবর্তনের কারণ জানেন
আরও খবর: ধওয়ন-রোহিত থেকে ফিঞ্চ-ওয়ার্নার, বিশ্বকাপের সবচেয়ে ধামাকাদার ওপেনিং জুটি হতে পারেন যাঁরা
উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে গোটা মাঠ দেখতে পান মাহি। ফিল্ড প্লেসিং সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার ধোনির। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে বোলারদের পরামর্শ দেন ধোনি। কোন লাইনে বল করতে হবে, তা কুলদীপ যাদব-যুজবেন্দ্র চহালকে বলে দেন ধোনি। সেই মতোই দুই স্পিনার বল করেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের শক্তি ও দুর্বলতা নখদর্পণে ধোনির। সেই মতোই ফিল্ডিং সাজান ধোনি।
চাপের মুখে সঠিক সিদ্ধান্ত ধোনির মতো কেউই নিতে পারেন না। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মস্তিষ্ক বরফের মতো শীতল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজে শেষ ওভারে বিজয় শঙ্করকে বল করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ধোনিরই ছিল। শেষ ওভারে জেতার জন্য অজিদের করতে হতো ১০ রান। হাতে ছিল দুটো উইকেট। শঙ্কর দুটো উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে জয় এনে দেন। টেনশনের ম্যাচে ধোনির উপরে দায়িত্ব দিয়ে কোহালি নিশ্চিন্তে থাকেন। এমন দৃশ্য বহুবার দেখা গিয়েছে। ইংল্যান্ডেও একই ছবি দেখা যাবে বলেই বিশ্বাস ক্রিকেটভক্তদের।
এগুলোর পাশাপাশি ব্যাট হাতে ধোনি-ধামাকা তো রয়েইছে। ব্যাটসম্যান ধোনি মানেই তো ফিনিশার। এখনও পর্যন্ত ৩৪১টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ৮২টি ম্যাচে নট আউট থেকেছেন তিনি। এই ৮২টি ম্যাচের মধ্যে ৬৭টি ওয়ানডে ম্যাচেই জিতেছে ভারত। অপরাজিত থেকেও ধোনি ১৫টি ম্যাচে ভারতকে জেতাতে পারেননি। এবারও ফিনিশার ধোনি কোহালিকে উদ্ধার করতে পারেন বিশ্বকাপে। সব দিক ভেবে চিন্তেই ধোনির কথা সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন শাস্ত্রী।