প্রথম ম্যাচেই লজ্জার হার পাকিস্তানের। ছবি: এএফপি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বল গড়ানোর আগে সরফরাজ আহমেদদের উদ্দীপ্ত করেছিলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খান। ক্যারিবিয়ানদের কাছে হারের পরে যা বুমেরাং হয়ে ফিরল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ব্যাটিং শেষ হয়ে যায় মাত্র ১০৫ রানে। ক্যারিবিয়ানদের কাছে ম্যাচ হারতেই ভক্তদের ট্রোলিংয়ের শিকার হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯২ সালের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক পাক-ক্রিকেটারদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ম্যাচের আগে আমার ছেলেদের বলতাম, নিজের একশো শতাংশ দিও, শেষ বল পর্যন্ত লড়ে যাও এবং হেরে যেতে পারো এমন কোনও চিন্তাকে প্রশ্রয় দিও না। নিজের স্ট্র্যাটেজি বা খেলা দিয়ে উদ্দীপ্ত করো। খেলতে নামার আগে আমার ছেলেদের এই পরামর্শই দিতাম। সরফরাজ ও তাঁর দলের জন্য দেশ প্রার্থনা করছে, দলের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন রয়েছে।
নেতৃত্ব দেওয়ার সময়ে ইমরান একই ভাবে ইনজামাম উল হক, ওয়াসিম আক্রমদের অনুপ্রাণিত করতেন। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ইমরান ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরের দিকে তুলে এনেছিলেন। পরে বলেছিলেন, চাপের ম্যাচে ইনজির মতো তরুণ প্রতিভাকে আগে ঠেলে দেওয়া ঠিক হত না। ইমরানের দুরন্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স ফাইনালে গোটা দলটাকে উজ্জীবিত করে দিয়েছিল।
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সরফরাজদের উৎসাহ দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেলদের মুখোমুখি হওয়ার আগে। কিন্তু পাক-ব্যাটসম্যানরা মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি। ম্যাচ হারের পরে ভক্তরা ইমরানকেই ট্রোল করতে শুরু করেন। কেউ লেখেন, ‘ওঁরা তো একশো শতাংশের বেশি দিয়েছে। আসলে, ওঁরা ১০৫ শতাংশ দিয়েছে।’
এক ভক্ত আবার ইমরানকে লিখেছেন, ‘কাপ্তান সাব, বোলিং করতে চলে আসুন।’ আর এক ভক্ত টুইট করেছেন, ‘উনি বলেছিলেন ১০০, ওরা দিয়েছে ১০৫।’
ইমরানের পাকিস্তান এক সময়ে সমীহ জাগানো নাম ছিল বিশ্বক্রিকেটে। অবসর ভেঙে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ফিরে এসে দেশকে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। অনুজদের হতশ্রী পারফরম্যান্সের জন্য বিশ্বজয়ী অধিনায়ককেই কটাক্ষ হজম করতে হল। ক্রিকেটারজীবনে এ ভাবে ইমরানকে অসম্মানিত হতে হয়নি।