এজবাস্টনে রুট ও রয়-এর দাপট। ছবি: এএফপি।
একপেশে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। অজিদের করা ২২৩ রান ইংল্যান্ড তুলে নিল ৩২.১ ওভারেই। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার দারুণ সুযোগ এ বার ইংল্যান্ডের। খেলার কথা অবশ্য আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। ১৪ তারিখ যাই হোক না কেন, ক্রিকেটবিশ্ব যে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে, তা পরিষ্কার। সেই ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ জিতেছিল। তার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ারই দাপট দেখা গিয়েছে। মাঝে ২০১১ সালে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ বার ইতিহাসের চাকা ঘুরতে চলেছে।
এজবাস্টনের ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে ‘বডিলাইন সিরিজ’-এর ছায়া! জোফ্রা আর্চারের ধেয়ে আসা বল আছড়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারির চিবুকে। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ঝরতে থাকে তাঁর চিবুক দিয়ে। তবুও লড়াই থামাননি ক্যারি। দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গেলেন তিনি। ক্যারির এই লড়াই দেখে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল ভন পর্যন্ত টুইট করে বললেন, ‘‘ক্যারি কিন্তু অ্যাশেজে খেলতে পারে।’’
ক্যারি, স্টিভ স্মিথের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া ৪৯ ওভারে করল ২২৩ রান। পুরো ৫০ ওভার টিকতে পারল না অস্ট্রেলিয়ার মতো দল। দুই অজি ব্যাটসম্যান রুখে না দাঁড়ালে আরও আগেই হয়তো ধসে যেত অজিরা।
বুধবার নিউজিল্যান্ড বোলারদের দৌরাত্ম্যে ভারতের টপ অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ঠিক সেই ছবিই দেখা গেল বৃহস্পতিবারের এজবাস্টনে। এদিন শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়তে থাকে। আর্চারের বলে কোনও রান না করেই আউট হন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ডেভিড ওয়ার্নার (৯) রান পাননি।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের নতুন ভালবাসা এখন নিউজিল্যান্ড’
আরও পড়ুন: কেরিয়ারের প্রথম ম্যাচেও রান আউট ধোনি, সে দিনের কথা মনে করলেন খালেদ মাসুদ
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাত্র চার জন দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছন। স্টিভ স্মিথ (৮৫) দলের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন। ক্যারি (৪৬) অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পাননি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩ বলে ২২ রান করলেও তা মোটেও ম্যাক্সওয়েল-সুলভ নয়। শেষের দিকে স্টার্ক ২৯ রান করেন। ইংরেজ বোলারদের মধ্যে ওকস এবং আদিল রশিদ ৩টি করে উইকেট নেন। হ্যাটট্রিক করতে পারতেন ওকস। স্মিথ ও স্টার্ককে পর পর দু’ বলে ফেরালেও হ্যাটট্রিক হয়নি। আর্চার পান দু’টি উইকেট।
২২৩ আজকের দিনে কোনও রানই নয়। এই পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে শুরু থেকেই উইকেট তুলতে হত অজি বোলারদের। সেটা আর সম্ভব হয়নি।উল্টে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো ওপেনিং জুটিতে ১২৪ রান করে ম্যাচের দখল নিয়ে নেন। বেয়ারস্টো ব্যক্তিগত ৩৪ রানে আউট হন। রয় অবশ্য আউট ছিলেন না। কামিন্সের বলে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা তাঁকে আউট দিয়ে দেন। অত্যন্ত বিরক্ত রয় (৮৫) আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে যান। তিনি আউট হয়ে গেলেও সমস্যায় পড়তে হয়নি ইংল্যান্ডকে। বাকি কাজটা রুট (অপরাজিত ৪৯) ও মর্গ্যান (অপরাজিত ৪৫) সেরে ফেলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া (৪৯ ওভার) ২২৩
ইংল্যান্ড (৩২.১ ওভার) ২২৬/২।