কে সেরা? জবাব সচিনের

চলতি বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই ৩১৯ রান করে ফেলেছেন রোহিত। দু’টি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে। ইংল্যান্ডের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ওপেন করা যে খুব একটা সহজ নয়, তা রোহিতের ব্যাটিং দেখেই আন্দাজ করা যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ০৩:২৫
Share:

স্মরণীয়: সেঞ্চুরিয়নে সচিনের সেই শট ফিরল রোহিতের ব্যাটে। টুইটার

রোহিত শর্মার একটি শট ফিরিয়ে এনেছে সেই ২০০৩ সালের স্মৃতি। সেঞ্চুরিয়নে শোয়েব আখতারকে আপার স্কোয়ার কাটে একটি ছয় মেরেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। প্রায় সে রকমই একটা শট রবিবার ম্যাঞ্চেস্টারে রোহিত শর্মা মারলেন হাসান আলিকে। এর পরে দুই শটের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন ওঠে, কারটা সেরা? এমনকি আইসিসি পর্যন্ত এই দুই শটের ভিডিয়ো পোস্ট করে একই প্রশ্ন তোলে, সচিন না রোহিত, কার শটটা সেরা? যে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্বয়ং সচিন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা দু’জনই ভারতীয়। আর এ ক্ষেত্রে তো একেবারে আমচি মুম্বই। তাই হেড হোক বা টেল, জয় আমাদেরই।’’

Advertisement

চলতি বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই ৩১৯ রান করে ফেলেছেন রোহিত। দু’টি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে। ইংল্যান্ডের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ওপেন করা যে খুব একটা সহজ নয়, তা রোহিতের ব্যাটিং দেখেই আন্দাজ করা যায়। শুরুর দিকে বেশি ঝুঁকি নেননি। খারাপ বলের সদ্ব্যবহার করেই সফল। কিন্তু কুলদীপ যাদবের সাফল্যের পিছনেও যে হিটম্যান ও যুজবেন্দ্র চহালের অবদান রয়েছে সে বিষয়ে জানা গেল ‘চহাল টিভি’-তে।

রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে রীতি অনুযায়ী দিনের নায়কের সাক্ষাৎকার নেন চহাল। তাঁর প্রথম প্রশ্ন, ‘‘যে দু’ম্যাচ সামারা (রোহিতের কন্যা) দেখতে এসেছে, রোহিত কিন্তু দুরন্ত পারফর্ম করেছে। তা হলে কি সামারাই তোমার লাকি চার্ম? ভাবি কি দু’জন বাচ্চাকেই সামলাচ্ছে?’’ হিটম্যানের উত্তর, ‘‘এ রকম বলিস না। রীতিকা রেগে যাবে। ২৪টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি কিন্তু ও পাশে থেকেছে বলেই পেয়েছি।’’

Advertisement

ম্যাচে মোড় ঘোরানো স্পেল করেন কুলদীপ যাদব। শুরু থেকেই বল ঘুরছিল। কিন্তু হাওয়ায় বল বাঁক খাওয়াতে সমস্যা হচ্ছিল। চহালও একই সমস্যায় পড়েন। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক রোহিতকে সেই সমস্যার কথা জানান চহাল। অধিনায়ক বিরাট কোহালির সঙ্গে আলোচনা করে দু’জনের দিক পরিবর্তন করা হয়। তার পরেই বাবর আজ়ম ও ফখর জ়মানকে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কুলদীপ। রোহিত বলছিলেন, ‘‘চহালের কিন্তু অধিনায়ক হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কোন বোলার কোন দিক দিয়ে বল করলে সুবিধা পাবে সেটা জানে। ওর কথাতেই কুলদীপের দিক পরিবর্তন করি। তার পরেই সফল।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সেঞ্চুরি করেছি ঠিকই, কিন্তু কুলদীপ সে সময় দু’টো উইকেট না নিলে সমস্যা হত। উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিল বাবর ও ফখর।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement