ভারতের ‘সুপারফ্যান’! রোহিত নয়, ম্যাচের সেরা ইনিই

মঙ্গলবার ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গ্যালারিতে হুইলচেয়ারে বসে থাকা চারুলতাকে প্রথম আবিষ্কার করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫৭
Share:

ভালবাসা: ম্যাচের পরে প্রবীণ সমর্থকের সঙ্গে দেখা করলেন বিরাট। রয়টার্স

মঙ্গলবার বার্মিংহামের মন জিতলেন কে? চলতি বিশ্বকাপে চার নম্বর সেঞ্চুরি করে ভারতকে দুর্দান্ত জয় এনে দেওয়া রোহিত শর্মার ‘চ্যালে়ঞ্জার’ হয়ে গেলেন প্রবাসী ভারতীয় সমর্থক চারুলতা পটেল।

Advertisement

বিদেশের মাঠে ভারতীয় ভক্তদের আগমন নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু ৮৭ বছর পূর্ণ করে ফেলা চারুলতার প্রাণপ্রাচুর্য এবং উচ্ছ্বলতা নজর কেড়ে নিয়েছে সকলের। ম্যাচের পরে যাঁর কাছে ছুটে গেলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ম্যাচের সেরা রোহিত শর্মাও গিয়ে জড়িয়ে ধরেন তাঁকে। পরে তাঁর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে কোহালি টুইট করেছেন, ‘‘ভক্তদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। বিশেষ করে চারুলতা পটেলজিকে। ৮৭ বছর বয়সেও এমন উন্মাদনা এবং নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক আগে কখনও দেখিনি।’’ বিরাট টুইটারে আরও লিখেছেন, ‘‘প্রমাণ হল বয়স শুধুই একটা সংখ্যা। আবেগই সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে এগিয়ে নিয়ে চলে জীবনকে। ওঁর আশীর্বাদ নিয়ে পরের ধাপের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’’

মঙ্গলবার ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গ্যালারিতে হুইলচেয়ারে বসে থাকা চারুলতাকে প্রথম আবিষ্কার করেন। তার পরেই নিমেষের মধ্যে চারুলতার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে। মাঠে উপস্থিত ভারত এবং বাংলাদেশের সমর্থকেরা তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তুলে পোস্ট করেন টুইটারে। ইনস্টাগ্রামে চারুলতার বড় আকারের ভেঁপু বাজানোর ছবি পোস্ট করেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনও। তিনি টুইট করেন, ‘‘এ বারের বিশ্বকাপের সেরা ছবি এটাই।’’

Advertisement

চারুলতা পটেলের জন্ম তানজ়ানিয়ায়। এখন থাকেন ইংল্যান্ডে। কিন্তু দেশের প্রতি গভীর টান এবং আবেগ রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। বলেছেন, ‘‘আমার জন্ম তানজ়ানিয়ায়। কিন্তু আমার বাবা-মা ছিলেন ভারতীয়। ফলে নিজের দেশ নিয়ে আমি আগের মতোই গর্ব অনুভব করি।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আমার ছেলেরাও তো সারে কাউন্টিতে ক্রিকেট খেলে। আমিও এই খেলাটাকে খুব ভালবেসে ফেলেছি। তাই এ দিন ভারতীয় দলের ম্যাচ দেখতে চলে এসেছি।’’

চারুলতা জানিয়েছেন, কর্মজীবন থেকে কুড়ি বছর আগে অবসর নেওয়ার পরেই ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে শুরু করে। ‘‘এই দলের সমস্ত ক্রিকেটার আমার সন্তানের মতো। ওদের জয়টা তাই অনেক বেশি আনন্দের,’’ বলেছেন বিরাটদের নতুন ভক্ত।

১৯৮৩ বিশ্বকাপে লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাতে যখন বিশ্বকাপ তুলে নিচ্ছেন কপিল দেব, তিনিও সেই ভিড়ে উপস্থিত ছিলেন। ছত্রিশ বছর পরে সেই বিশ্বকাপ কি আবারও উঠবে বিরাট কোহালির হাতে? চারুলতা বলছেন, ‘‘আমার এই দলের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। ওদের জন্য প্রার্থনা করি। ওরা আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন