জবিকে নিয়ে জট কেটেও কাটল না

শনিবার বিকেলে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় আলাদা করে কথা বলেন জবি ও লাল-হলুদের প্রতিনিধির সঙ্গে। কিন্তু আগামী মরসুমে এটিকে না ইস্টবেঙ্গল কাদের হয়ে খেলবেন তিনি তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩৬
Share:

নজরে: শনিবার আইএফএ অফিসে জবি জাস্টিন। নিজস্ব চিত্র

ইস্টবেঙ্গল বনাম জবি জাস্টিন দ্বৈরথে সমাধানসূত্র অধরাই।

Advertisement

শনিবার বিকেলে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় আলাদা করে কথা বলেন জবি ও লাল-হলুদের প্রতিনিধির সঙ্গে। কিন্তু আগামী মরসুমে এটিকে না ইস্টবেঙ্গল কাদের হয়ে খেলবেন তিনি তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না।

আই লিগ চলাকালীনই এটিকের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি করেন জবি। অথচ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে গিয়ে টোকেন তুলে দেন কর্তাদের হাতে। লাল-হলুদ শিবিরের দাবি, ইস্টবেঙ্গলে খেলতে চেয়ে নাকি চিঠিও দিয়েছেন আই লিগে ভারতীয়দের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গোল করা স্ট্রাইকার। এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে এসে জবিও পাল্টা দাবি করেছেন, তিনি নিয়ম মেনেই এটিকের প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেছেন। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার প্রধান। তিনি বলেছেন, ‘‘জবি কেরলে ছিল। আমার চিঠি পেয়ে শুক্রবার রাতেই কলকাতায় ফিরেছে। ও কাগজপত্র দেখিয়েছে। সব প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছে। জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই এটিকের প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান প্রয়োজন।’’

Advertisement

ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধিদের বক্তব্য কী? আইএফএ সচিবের কথায়, ‘‘ইস্টবেঙ্গল বলে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওরা লিখিত ভাবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছে। তাই নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে ওরাও প্রয়োজনীয় কাগজ দেখিয়েছে।’’ তিনি যোগ করেছন, ‘‘তবে ইস্টবেঙ্গলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার যেহেতু জবির সঙ্গে যাবতীয় কথাবার্তা বলেছেন, তাই ১৭ এপ্রিল ওঁকে ডেকেছি কথা বলার জন্য। তার পরেই এআইএফএফের সঙ্গে আলোচনা করব।’’ কী কাগজ দেখিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধিরা? আইএফএ সচিব বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে খেলতে চেয়ে জবি যে চিঠি দিয়েছিলেন, তা দেখিয়েছেন। জবিকে স্বাগত জানিয়ে ইস্টবেঙ্গল যে চিঠি দিয়েছে, সেটাও ওঁরা দেখিয়েছেন।’’

ওয়াকিবহাল মহলের মতে শুধু এই চিঠির মাধ্যমে প্রমাণ করা কঠিন যে, জবি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার। তাঁদের মতে, চিঠিতে আর্থিক চুক্তির উল্লেখ না থাকলে তা মূল্যহীন।

প্রত্যাশা মতোই শনিবার ভুবনেশ্বরে আই লিগ কমিটির সভায় সুপার কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করা দলগুলোর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তি ঘোষণা হয়নি। ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে বিষয়টি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই সভাতেই বিতর্কিত চেন্নাই সিটি এফসি বনাম মিনার্ভা এফসি ম্যাচ নিয়ে জাভেদ সিরাজের তদন্ত রিপোর্ট খোলা হয়। ফেডারেশনের ইনটিগ্রিটি অফিসার তাঁর তদন্তে ম্যাচ গড়াপেটার কোনও প্রমাণ পাননি বলে উল্লেখ করেছেন। আই লিগে রিয়াল কাশ্মীর বনাম মিনার্ভা ম্যাচ না হওয়ায় দু’দলকে এক পয়েন্ট করে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন