গড়াপেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আইএফএ

বৃহস্পতিবার টালিগঞ্জ অগ্রগামী-সাদার্ন সমিতির প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ন্যক্কারজনক গড়াপেটায় তোলপাড় ময়দান। কিন্তু আইএফএ অফিসে তার কোনও রেশই নেই শুক্রবার বিকেলে। বরং এ ব্যাপার থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছেন কর্তারা। আইএফএ সচিব উত্পল গঙ্গোপাধ্যায় বলে দিলেন, ‘‘এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কোনও অভিযোগের রিপোর্টও জমা পড়েনি আমার কাছে।’’ আসলে মন্ত্রীর দল গড়াপেটা খেলেছে। তাই চোখ বুজে থাকা ছাড়া উপায়ই বা কী?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৩১
Share:

বৃহস্পতিবার টালিগঞ্জ অগ্রগামী-সাদার্ন সমিতির প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ন্যক্কারজনক গড়াপেটায় তোলপাড় ময়দান। কিন্তু আইএফএ অফিসে তার কোনও রেশই নেই শুক্রবার বিকেলে। বরং এ ব্যাপার থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছেন কর্তারা। আইএফএ সচিব উত্পল গঙ্গোপাধ্যায় বলে দিলেন, ‘‘এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কোনও অভিযোগের রিপোর্টও জমা পড়েনি আমার কাছে।’’ আসলে মন্ত্রীর দল গড়াপেটা খেলেছে। তাই চোখ বুজে থাকা ছাড়া উপায়ই বা কী?

Advertisement

তিন মাস আগে হলে গড়াপেটার এই ম্যাচটা দুই ক্রীড়ামন্ত্রীর লড়াই হতে পারত। অস্থায়ী ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে খেলাটা হতে পারত জেলে থাকা আসল ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের দলের। কিন্তু সাদার্নের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তিন মাস আগেই সরে গিয়েছেন মদন। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন কাউন্সিলর রতন দে। মদন সরলেও মূলত তৃণমূলের মন্ত্রী-কাউন্সিলর যোগসাজসেই হয়েছে গড়াপেটা।

এ দিকে, ডার্বির আগে যা সাধারণত হয় না সেটাই হল এ বার। যুবভারতীর নতুন ঘাসের মাঠে অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। সরাসরিই মাঠে নামবে তারা। যা নিয়ে চিন্তিত ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিত্ ভট্টাচার্য বলে দিলেন, ‘‘খুব খারাপ হল এটা। কিছুই বুঝতে পারছি না কেমন অবস্থায় থাকবে মাঠটা। সমস্যা হতে পারে।’’ তবে বিশ্বজিত্ ক্ষুব্ধ হলেও বাগান কোচ সঞ্জয় সেন আপসের রাস্তায়। ‘‘আমরা এত দিন ঘাসের মাঠেই অনুশীলন করেছি। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পরিস্থিতি পাল্টানো যাবে না। তাই ভেবে কোনও লাভ নেই।’’ এ দিন দুপুরে যুবভারতীর হাল দেখতে যান অস্থায়ী ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Advertisement

বাগানের লিগ জয়ের সম্ভবনা নেই। তা সত্ত্বেও ডার্বির টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। আইএফএ সচিব বলছিলেন, ‘‘পঁচাত্তর হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন। পুলিশ এটাই অনুমতি দিয়েছে।’’ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বাইরে লম্বা লম্বা লাইন পড়ছে। ইস্টবেঙ্গলকে দেওয়া অধিকাংশ টিকিটও বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তুলনায় বাগানে চাহিদা কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন