বিরাট কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এতটাই যে, মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর ভারত অধিনায়ক বলে বসলেন, ‘‘আমার মনে হয়, অ্যাডিলেডের একটা স্ট্যান্ড কোহলির নামে করা হবে। যে পরিমাণ রান করছে ও, তাতে ও যখন অবসর নেবে, তখন তো মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটা মাঠের স্ট্যান্ড ওর নামে হয়ে যাবে।’’
কয়েক দিন আগেই ওয়ান ডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের পর বিপন্ন ক্যাপ্টেনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন টেস্ট ক্যাপ্টেন কোহলি। ধোনির ফিল্ড প্লেসিং অনুযায়ী পেসারদের বল করার নির্দেশ দিতে তিনি নিয়মিত মিড অনে ফিল্ডিং করতে চান, এমন পরিকল্পনাও করেছিলেন ধোনির সঙ্গে আলোচনা করে। মঙ্গলবার কোহলির ৫৫ বলে ৯০-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের কথা জিজ্ঞাসা করতেই ধোনি বলেন, ‘‘সত্যিই দারুণ ব্যাট করছে ও। বড় শটের ঝুঁকি নেওয়ার আগে ও কিন্তু হিসেবটা খুব ভাল করে নিচ্ছে। ভাল কাটার আর পুলার হলেও ও উইকেটের সামনের দিকে শট নিতে বেশি ভালবাসে। এতে সাফল্যের সম্ভাবনা আরও বাড়ে।’’ এটুকুতেই অবশ্য থামানো যায়নি ধোনিকে। আরও বলেন, ‘‘খেলাটা ভাল রিড করতে পারে কোহলি। একেবারে শুরু থেকেই। যখনই ওর সঙ্গে কথা হয়েছে, নিজেকে উন্নত করার ব্যাপারে বরাবর আগ্রহ দেখিয়েছে। এ রকম আগ্রহ থাকলে তবেই বড় হওয়া যায়। তরুণরা যখন সুযোগ পেলে সেটাকে দু’হাতে কাজে লাগাতে পারে, তখন তা দেখে খুব ভাল লাগে। ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে কোহলি সেটা যে ভাবে কাজে লাগিয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।’’
ওয়ান ডে সিরিজে পরপর চার ম্যাচে হারার পর সিডনি থেকে যে জয়ের ধারা শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে এ দিন ধোনি বলেন, ‘‘যে কোনও দলগত খেলায় গোটা দলের ভাল খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ সেটাই হয়েছে। বিরাট ভাল ব্যাট করেছে। যুবরাজ, রায়নারা এখানে এসে মাত্র একটা নেট সেশন পেয়েছে। উপরের দিকে ব্যাট করতে হলে ওদের পক্ষে সেটা হয়তো কঠিন হত। সে দিক থেকে রায়না ভাল ব্যাট করেছে। তবে বোলাররা কেমন বল করছে, সেটাই আসল ব্যাপার। আমরা আজ ভালই ডট বল করেছি। পেসাররা প্রথম দিকে চার-ছয় দিলেও পরে ডট বল করেছে। স্পিনাররা তো আরও বেশি। জাডেজা-অশ্বিন এসে অস্ট্রেলিয়ানদের বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল।’’
নবাগত জসপ্রীত বুমরাহর প্রশংসাও ক্যাপ্টেনের মুখে। বলেন, ‘‘জসপ্রীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাল বল করেছে। নেহরাও তাই। মিডল ওভারে স্পিনারদের অনেকগুলো উইকেট পাওয়াই ম্যাচটা আমাদের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এ রকম হলে জেতাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আজও তা-ই হল।’’