বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি সিরিজ। সেই সিরিজের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করল বোর্ড। প্রথম দুই ম্যাচের সঙ্গে শেষ তিন ম্যাচের ১৫ জনের দলে একটি পরিবর্তন করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই সিরিজের মাধ্যমেই বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল বেছে ফেলল বিসিসিআই। দেখে নেওয়া যাক কারা রইলেন এই দলে।
শিখর ধওয়ন: ফর্মে রয়েছেন ভারতের এই বাঁ হাতি ওপেনার। দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে তাঁর বিকল্প কমই আছেন। ম্যাচের ওপেনার তিনিই। বিশ্বকাপেও তিনিই ওপেন করবেন।
রোহিত শর্মা: ফর্মে ফিরেছেন হিট ম্যান। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে একদিনের ম্যাচ ও টি-২০তে তাঁর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভাল। ধওয়নের সঙ্গে ওপেন করবেন তিনিই।
লোকেশ রাহুল: তবে সব থেকে বড় চমক বোধহয় লোকেশ রাহুল। সাম্প্রতিক সময় ধারাবাহিক ভাবে ব্যাটে রান নেই। তাও কী ভাবে সুযোগ পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিরাট কোহালি: অধিনায়ক হিসাবে বিরাট কোহালিই থাকবেন। বর্তমানে ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, রানমেশিন তাই থাকছেন তিন নম্বরে।
ঋষভ পন্থ: বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি আলোচনার মধ্যে ছিলেন। বাঁহাতি ঋষভের ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। হাতে বিভিন্ন রকমের শট রয়েছে। ধোনির অনুপস্থিতিতে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
অম্বাতী রায়ুডু: গত কয়েক মাসে খারাপ খেলেননি। দলের চার নম্বর জায়গা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চিয়তা থাকলেও সম্ভবত তাঁকেই ভরসা করবে দল।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে ভরসা দিচ্ছে ধোনির ব্যাট। তবে শুধুমাত্র স্টাম্পের পিছনে ক্ষিপ্রতা ও অভিজ্ঞতার কারণেও প্রাক্তন অধিনায়ক দলে থাকতে পারেন।
বিজয় শঙ্কর: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাফল্যের জন্য দলে সুযোগ পেলেন বিজয় শঙ্কর। ব্যাটের পাশাপাশি বিজয়ের বল দলের পক্ষে বাড়তি পাওনা।
কেদার যাদব: লোয়ার মিডলে ব্যাট হাতে যেমন ভরসা করা যায়, তেমনই বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন।
হার্দিক পাণ্ড্য: বিতর্কের কারণে মাঠের বাইরে থাকলেও ফিরেই সকলকে চমকে দিয়েছেন। বিশ্বকাপে দলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন এই অলরাউন্ডার।
কুলদীপ যাদব: চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব বিপক্ষ ইনিংসে ভাঙন ধরানোর ক্ষমতা রাখেন। চহালের সঙ্গে তাঁর জুটি আসন্ন সিরিজ তো বটেই বিশ্বকাপেও ভারতের সেরা বাজি হতে পারে।
যশপ্রীত বুমরা: গত কয়েক মাসে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন বুমরা। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সেরাদের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
যুজবেন্দ্র চহাল: টি২০ হোক বা ওয়ান ডে, চমক দিয়েই চলেছেন এই লেগস্পিনার। কুলদীপের সঙ্গে তাঁর জুটি সমস্যায় ফেলতে পারে যে কোনও ব্যাটিং লাইনআপকে।
মহম্মদ শামি: এই মূহূর্তে দলের অন্যতম সেরা পেসার। দল তিন পেসার ফর্মুলায় গেলে দলে তিনি থাকবেনই।
সিদ্ধার্থ কল: তরুণ পেস বোলারটি দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন। পেস বোলিংয়ে যথেষ্ট বৈচিত্র রয়েছে তাঁর।
ভুবনেশ্বর কুমার: বুমরার পর দলের সেরা পেসার। বুমরার সঙ্গে সম্ভবত নতুন বলে থাকবেন তিনিই। প্রথম দুই ম্যাচে সিদ্ধার্থ কল খেললেও শেষ তিন ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।