পাক বধ করে এশিয়া সেরা, ছয়ে ছয় করে বদলা ঝুলনদের

হ্যাটট্রিক নয়, একেবারে ডাবল হ্যাটট্রিক! এক নয়, দুই নয়, এ নিয়ে একেবারে ছ’বার এশিয়া কাপ জিতে ফেললেন মিতালি রাজ-ঝুলন গোস্বামীরা। আর জয় অন্য কোনও টিমের বিরুদ্ধে এল না। এল একেবারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে! সতেরো রানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৯
Share:

হ্যাটট্রিক নয়, একেবারে ডাবল হ্যাটট্রিক!

Advertisement

এক নয়, দুই নয়, এ নিয়ে একেবারে ছ’বার এশিয়া কাপ জিতে ফেললেন মিতালি রাজ-ঝুলন গোস্বামীরা। আর জয় অন্য কোনও টিমের বিরুদ্ধে এল না। এল একেবারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে! সতেরো রানে।

এশিয়া কাপ শুরুর আগে আগেই টি-টোয়েন্টি টিমের ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মিতালি রাজকে। রবিবার ব্যাঙ্ককে সেই মিতালিই ভারতকে প্রায় একা হাতে জিতিয়ে দিলেন অপরাজিত ৭৩ করে। বাংলার ঝুলন গোস্বামী—অসাধারণ এই জয়ের পিছনে তাঁর কৃতিত্বকেও অস্বীকার করা যাবে না। শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ১০ বলে ১৭ করে যান ঝুলন। দু’টো ছক্কাও মারেন। বল হাতেও একটা উইকেট পান তিনি। প্রথমে ব্যাট করে ভারত কুড়ি ওভারে ১২১-৫ তুলেছিল। জবাবে ১০৪-৬ স্কোরেই আটকে যায় পাকিস্তান।

Advertisement

এবং প্রতিদ্বন্দ্বীর নামটা পাকিস্তান হওয়ায় ভারতীয় টিমের অনেকেরই জয়কে আরও মধুর মনে হচ্ছে। এ দিন জেতার পরপরই প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক কমিটির (মহিলা) চেয়ারম্যান মিঠু মুখোপাধ্যায়কে ফোন করেন ঝুলন। শোনা গেল, উচ্ছ্বসিত বঙ্গসন্তান নাকি বলতে থাকেন যে সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল। এ বার তার শোধটা ঠিকঠাক তোলা গেল। টুর্নামেন্টে ফাইনাল-সহ পাকিস্তানকে দু’-দু’বার হারিয়ে। সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দেওয়া গেল যে, কারা তুলনায় ভাল টিম। ভারত না পাকিস্তান।

টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কেউ কেউ ফোনে বলছিলেন যে, মিতালিকে দিয়ে ওপেন করানোটা মাস্টারস্ট্রোক হয়েছে। টিমের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তিনি। দক্ষও যে কতটা, ফাইনালে বুঝিয়ে দিলেন। ৬৫ বল খেলে ৭৩ অপরাজিত থাকেন মিতালি। সাতটা বাউন্ডারি ও একটা ছক্কা-সহ। মিতালি শুধু ম্যাচের সেরা হননি, টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন। ৪ ইনিংসে তাঁর রান ২২০। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের দু’টো ম্যাচেই মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করেছেন মিতালি। ফাইনালের অপরাজিত ৭৩ তো তাঁর টুর্নামেন্ট সেরা। যা থেকে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, ৩৪ বছরেও তাঁর ব্যাটিং-দক্ষতায় মরচে পড়েনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হারের ম্যাচে মিতালির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কে জানত, কয়েক মাসের মধ্যে সেই স্ট্রাইক রেট নিয়েই ফের কথাবার্তা হবে। তবে নেতিবাচক আর নয়, এ বার ইতিবাচক। ফাইনালে মিতালির স্ট্রাইক রেট তো ১১২।

ব্যাটিংয়ে মিতালি ঝলসে উঠলে বোলিংয়ে আবার দু’টো উইকেট বার করেছেন একতা বিস্ত। ঝুলন, অনুজা পাটিল, প্রীতি বসুরা পেয়েছেন একটা করে উইকেট। কিন্তু প্রত্যেকে রান খরচে কৃপণ থেকে পাকিস্তান ব্যাটসম্যানদের কাজ আরও কঠিন করে দিয়েছেন। যার নিটফল— এশিয়া কাপ। ছ’বার।

ভুল হল। আজ পর্যন্ত যে ক’বার হয়েছে, প্রত্যেক বার!

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ১২১-৫ (মিতালি ৭৩ ন:আ:, ঝুলন ১৭, আমিন ২-২৪)
পাকিস্তান ১০৪-৬ (মারুফ ২৫, বিস্ত ২-২২, প্রীতি ১-১৮, ঝুলন ১-১৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন