যে কোনও দেশেই সফল হতে পারে ভারত, মত সচিনের

অস্ট্রেলিয়া ও নিজ়িল্যান্ডে ভারতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পরে ক্রিকেট বিশ্বে অনেক বিশেষজ্ঞই বলতে শুরু করে দিয়েছেন, ভারতই এ বার বিশ্বকাপে এগিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৫
Share:

অতিথি: ম্যারাথনের উদ্বোধনে রবিবার কলকাতায় ঝটিকা সফরে সচিন তেন্ডুলকর। নিজস্ব চিত্র

আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতই ফেভারিট, বলছেন সচিন তেন্ডুলকর। কয়েকদিন আগে রাহুল দ্রাবিড় যা বলেছিলেন, এ বার প্রায় একই কথা শোনা গেল সচিনেরও গলায়। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘যদি বিশ্বকাপে সম্ভাবনার কথা জিজ্ঞেস করেন, তা হলে আমি নির্দ্বিধায় বলব, আমরাই ফেভারিট।’’

Advertisement

অস্ট্রেলিয়া ও নিজ়িল্যান্ডে ভারতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পরে ক্রিকেট বিশ্বে অনেক বিশেষজ্ঞই বলতে শুরু করে দিয়েছেন, ভারতই এ বার বিশ্বকাপে এগিয়ে। সচিনও বহুবার প্রশংসা করেছেন বিরাট কোহালির দলের। কিন্তু এ বার স্পষ্ট ভাষায় ভারতকে ফেভারিট বলতে দ্বিধা নেই তাঁর। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ভারতীয় দলের সফল হওয়ার ক্ষমতা আছে বলে মনে করেন তিনি এবং এ জন্য তিনি খুশিও। সংবাদসংস্থাকে এ দিন সচিন বলেন, ‘‘আমি একাধিকবার বলেছি, আমাদের দলে নিখুঁত ভারসাম্য রয়েছে। যার ফলে এই দল বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে গিয়ে সফল হতে পারে। তাই এখন আর ভারতকে ফেভারিট বলতে কোনও দ্বিধা নেই আমার।’’

ভারতের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়েও মন্তব্য করেন সচিন। বলেন, ‘‘দ্রুত ছন্দে আসাটাই আসল কথা। আমার মনে হয় ইংল্যান্ডই ভারতের সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। আর নিউজ়িল্যান্ড হয়ে উঠতে পারে কালো ঘোড়া।’’ সদ্য নিউজ়িল্যান্ডকে ওয়ান ডে সিরিজে ভারত হারালেও তাদের উড়িয়ে দিতে রাজি নন সচিন। বলেন, ‘‘এই সিরিজে নিউজ়িল্যান্ড সফল হতে না পারলেও ওদের দল কিন্তু ভাল। তবে আরও তৈরি হতে হবে।’’ অস্ট্রেলিয়া দলে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে সচিন বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া পুরো দল নিয়ে নামলে কিন্তু ওদের হারানো সোজা হবে না। স্মিথরা দলে ফিরলে অস্ট্রেলিয়া আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু ওয়ান ডে ম্যাচে ঘণ্টা দুয়েক খারাপ কাটলেই ম্যাচ অর্ধেক হাত থেকে বেরিয়ে যায়।’’

Advertisement

সম্প্রতি ছোটবেলার কোচ রমাকান্ত আচরেকরকে হারিয়েছেন। তাঁর প্রসঙ্গ উঠলে সচিন বলেন, ‘‘ওঁর সম্পর্কে কেউ ‘ছিলেন’ বললে আমার মোটেই ভাল লাগে না। আচরেকর স্যরকে হারানোটা আমার সবচেয়ে বড় ক্ষতি। আমি আজ যে জায়গায় আছি, তা স্যর ও তাঁর পরিবারের জন্য। উনি যেন আমার পরিবারেরই সদস্য ছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন