গোলের পর উল্লাস ভারতের খেলোয়াড়দের। ছবি: পিটিআই।
সুপার ফোর আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সোমবার এশিয়া কাপে নিয়মরক্ষা কাজাখস্তানকে ১৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করল ভারত। হ্যাটট্রিক-সহ চার গোল করলেন অভিষেক। হ্যাটট্রিক করেছেন সুখজিৎ সিংহ এবং যুগরাজ সিংহও। জোড়া গোল হরমনপ্রীত সিংহের। সুযোগ নষ্ট না করলে ভারতের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।
আন্তর্জাতিক হকির ক্রমতালিকায় ভারত রয়েছে সাত নম্বরে। কাজাখস্তান সেখানে ৮১-তে। ১৯৯৪-এর পর প্রথম বার তারা এশিয়া কাপে খেলছে। দুই দলের পার্থক্য শুরু থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত চাপে রেখেছে কাজাখস্তানকে।
প্রথম মিনিটেই গোল করার জায়গায় চলে গিয়েছিলেন দিলপ্রীত। তিনি সুযোগ নষ্ট করেন। পঞ্চম মিনিটে ভারতকে এগিয়ে দেন অভিষেক। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ‘ডি’ বক্সে ঢুকে দূর থেকে শট নেন তিনি। কোণ দিয়ে বল জালে জড়ায়। তিন মিনিট পরে সমতা ফেরানোর জায়গায় এসেছিল কাজাখস্তান। সুযোগ নষ্ট করেন দুইসেনগাজ়ি।
অষ্টম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ভারত। এ বারও অভিষেক। বৃত্তের ভিতরে বল পেয়ে বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের চাপ সামলে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন। তার পরেই মনদীপ সিংহ একটি সুযোগ নষ্ট না করলে তৃতীয় গোল করতে পারত ভারত। সেটি হয় ১৫ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে পাস পেয়েছিলেন সুখজিৎ। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকার ফায়দা তুলে গোল করেন।
২০ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন অভিষেক। বিপক্ষের বৃত্তে রোখাই যাচ্ছিল না তাঁকে। এ বারও কাজাখস্তানের ডিফেন্ডারেরা তাঁকে ঘিরে ফেলেছিলেন। তার ফাঁক দিয়েই গোল করেন অভিষেক। চার মিনিট পর পেনাল্টি কর্নার থেকে পঞ্চম গোল করেন যুগরাজ। ২৬ মিনিটে ষষ্ঠ গোল হরমনপ্রীত সিংহের। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন তিনিও। ২৯ মিনিটে গোল অমিত রোহিদাসের। তাঁর গোলও আসে পেনাল্টি কর্নার থেকে। বিরতিতে ৭-০ গোলে এগিয়েছিল ভারত। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ফল কী হতে চলেছে।
বিরতির পর ভারত আরও চাপ বাড়ায়। কাজাখস্তানকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করতে থাকে তাঁরা। পেনাল্টি কর্নার থেকে অষ্টম গোল করেন যুগরাজ। নবম গোল করেন রাজিন্দর সিংহ। বৃত্তের মধ্যে মনদীপ সিংহ পাস দিয়েছিলেন রাজিন্দরকে। বিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে গোল করেন রাজিন্দর।
ভারতের দশম গোল সুখজিতের। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে বিপক্ষের বৃত্তে ঢুকে একার প্রয়াসে গোল করেন তিনি। ছ’মিনিট পরে আরও একটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তিনি। বিবেকের থেকে পাস পেয়ে গোল করেন সুখজিৎ। ৪৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন যুগরাজ। আবার পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন।
ভারতের হয়ে ১৩তম গোল করেন সঞ্জয় সিংহ। পেনাল্টি কর্নার মারার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। হতাশ করেননি। ১৪তম গোল দিলপ্রীতের। ১৫তম গোল করেন অভিষেক।