জয়ের উৎসব সেরে হোলি হ্যায়

ছুটির পরেই নতুন লড়াই মাহির শহরে

স্টিভ স্মিথ-দের হারিয়ে, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে দিয়ে ‘গেট টুগেদার’-এ বসল ভারতীয় দল। অধিনায়ক বিরাট কোহালির ইচ্ছায় এ বার বেঙ্গালুরুতে নতুন হোটেলেই উঠেছিল ভারত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০৪:১০
Share:

আগ্রাসী: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ ১-১ করার পরে বিরাট কোহালি। মঙ্গলবার চিন্নাস্বামীতে। পিটিআই

স্টিভ স্মিথ-দের হারিয়ে, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে দিয়ে ‘গেট টুগেদার’-এ বসল ভারতীয় দল।

Advertisement

অধিনায়ক বিরাট কোহালির ইচ্ছায় এ বার বেঙ্গালুরুতে নতুন হোটেলেই উঠেছিল ভারত। এখানে আইপিএলের সময় কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ঘাঁটি বসায়। আগের পাঁচ তারা হোটেল ছেড়ে ভারতীয় দলও এ বার থেকে নতুন ঠিকানা করে ফেলল। সেই হোটেলেই চলল কোহালিদের ‘গেট টুগেদার’।

সেটা হল অনেক পরে। রাত আটটা থেকে। তার আগেই হোটেলে সাদর অভ্যর্থনা পেয়েছে দল। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে মাঠ থেকে ফেরার পর লবি দিয়ে ঢোকার মুখেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জনতা হাততালি আর পুষ্পবৃষ্টি করে ক্রিকেটারদের স্বাগত জানাল। তার পর লবিতে ঢুকে কেক কাটাও হল। ম্যাচের সেরা কে এল রাহুল কেক কেটে খাইয়ে দিলেন কোহালি এবং অশ্বিনকে। তার পর কোহালি নিজে কেকের টুকরো তুলে দিলেন রাহুলের মুখে। দেখে মনে হবে, পুণের হারের পর যে চাপটা তৈরি হয়েছিল দলের মধ্যে, সেটা একটি জয়েই উধাও।

Advertisement

অধিনায়ক কোহালির আমলে ভারতীয় দলে একটা রীতি চালু হয়েছে যে, ম্যাচ জিতলে ‘গেট টুগেদার’ হবে। ঠিক বিজয়োৎসব নয় এটা। তবে আগে যে ম্যাচ জিতে যে যাঁর বাড়ির যাওয়ার জন্য ছুটতেন আর মনে করা হতো একটা দিন ছুটি পাওয়া গিয়েছে, সেই রীতি আর নেই। এখন ম্যাচ জিতলে আগে খেলা শেষ হয়ে গেলেও বাড়ি যাওয়ার উপায় নেই। ‘গেট টুগেদার’-এ সকলের আসাটা বাধ্যতামূলক। বিজয়োৎসব নয়, এটার নামকরণ হতে পারে বিজয় সম্মেলন। মঙ্গলবার সেই সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া বধের আস্বাদ নিতে নিতে নতুন শপথ নেওয়া হল, চাপ হাল্কা করা যাবে না। সিরিজ জিততেই হবে আমাদের।

এর পরের স্টেশন রাঁচি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহর। সেখানে পৌঁছনোর আগে অবশ্য হোলির ছুটিতে যাচ্ছে দল। আজ, বুধবার, বেঙ্গালুরুতেই বোর্ডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান কর্তারা বয়কট করলেও ক্রিকেটারেরা যাবেন বলেই খবর। বুধবারও তাই তাঁরা বেঙ্গালুরুতে থাকছেন। বৃহস্পতিবার যে যাঁর বেরিয়ে পড়বেন নিজেদের বাড়ির দিকে।

রাতের দিকে কোহালি টুইট করেন, ‘আমরা এক সঙ্গে জিতি, এক সঙ্গে হারি।’ জয়ের আবহের মধ্যেই চলছে ডিআরএসগেট নিয়ে চর্চা। ভারতীয় দল এই দাবি থেকে সরছে না যে, স্মিথ ইচ্ছাকৃত ভাবে সুযোগ নিচ্ছিলেন। কারও কারও মনে পড়ে যাচ্ছে হ্যান্সি ক্রোনিয়ের কথা। তিনি এক বার হেডফোন লাগিয়ে নেমে পড়েছিলেন। ড্রেসিংরুম থেকে তাঁর কানে নির্দেশ পাঠাচ্ছিলেন কোচ বব উলমার। ম্যাচ রেফারির হস্তক্ষেপে হেডফোন খোলেন হ্যান্সি।

এ ক্ষেত্রেও দেখার ম্যাচ রেফারি স্মিথকে ডাকেন কি না। আগ্রাসনের জন্য বিরাটকেও ডাকা হবে না তো?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন