সেঞ্চুরির পরে ভারতের মিতালি রাজ। ছবি: টুইটার।
দুই অধিনায়কের সেঞ্চুরি। এক দিকে ভারতীয় অধিনায়ক মিতালি রাজ তাঁর ক্রিকেট জীবনের সর্বোচ্চ রান করলেন রবিবার। অন্য দিকে সেঞ্চুরি করে ভারতের বিরুদ্ধে টানা দশ ম্যাচ হারার রীতি থামালেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চামারি আটাপাট্টু। নিজের দেশকে তিন উইকেটে জিতিয়ে। ২০১৩ সালে শেষ বার ভারতকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তার পরে রবিবার প্রায় পাঁচ বছর পরে ভারতকে হারাল শ্রীলঙ্কা।
তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম দু’টি জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল ভারত। রবিবার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। টস জিতে যেখানে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে আউট হন তরুণ ভারতীয় ওপেনার জেমাইমা রডরিগেজ়। তাই তৃতীয় বল থেকেই বাঁ হাতি ওপেনার স্মৃতি মন্ধানাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক মিতালি। তাঁরা গড়েন ১০২ রানের জুটি।
ম্যাচের ২৩তম ওভারে বিপক্ষ অধিনায়ক আটাপাট্টুর বলে আউট হন স্মৃতি। ৬২ বলে ব্যক্তিগত ৫১ রান করেন ভারতের বাঁ হাতি ওপেনার। তার পরেই সহ-অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর (১৭) ও ডান হাতি ব্যাটসম্যান হেমলতার (৬) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। তখনই ম্যাচের হাল ধরেন মিতালি ও অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা। স্কোরবোর্ডে ৯২ রান জোড়ে এই জুটি। ১৪৩ বল খেলে অপরাজিত ১২৫ রান করেন মিতালি। ১৪টি চার ও একটি ছক্কার সৌজন্যে এই ইনিংস গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ৪৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হন দীপ্তি শর্মা।
সফল: শতরানের পথে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক আটাপাট্টু। ছবি: টুইটার।
দীপ্তির উইকেট পড়ার পরে মাত্র দু’বল বাকি ছিল ভারতীয় ইনিংসে। শেষ দু’টি বল থেকে সর্বোচ্চ রান পাওয়ার লক্ষ্যে কিংবদন্তি পেসার ঝুলন গোস্বামীকে নামান অধিনায়ক মিতালি। আর প্রথম বলেই ছয় হাঁকান ঝুলন। ইনিংসের শেষ বলেও মারতে যান। তবে টাইমিং না হওয়ার খুচরো রান নিয়ে ভারতের ইনিংসে শেষ করতে হয় বাংলার পেসারকে। ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান করে ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করেন শ্রীলঙ্কার ওপেনারেরা। হাসিনি পেরেরার সঙ্গে ওপেন করতে আসেন বিপক্ষ অধিনায়ক আটাপাট্টু। ১০১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ৪৫ রান করে পেরেরা আউট হলেও হাল ছাড়েননি আটাপাট্টু। এক দিকের উইকেট কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। ১৩৩ বলে ১১৩ রানের জয়সূচক ইনিংসটি খেলে হেমলতার বলে ফিরে যান আটাপাট্টু। ম্যাচের এক বল বাকি থাকতে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান তুলে দেয় শ্রীলঙ্কা। শুরুর দিকে উইকেট না পেলেও গোটা ম্যাচে মোট দু’টি উইকেট নেন ঝুলন। মানসি জোশীও নেন দু’টি উইকেট। হেমলতা ও লেগস্পিনার পুণম যাদব নেন একটি করে উইকেট।