উৎসব: উইকেট নেওয়ার পরে চহালের সঙ্গে রায়না। ছবি: এএফপি।
শ্রীলঙ্কায় চলতি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি নিদাহাস টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে হারের পরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছিল ভারতের। যে লড়াইয়ে জিততে খুব একটা সমস্যা হল না রোহিত শর্মাদের। প্রথমে দুই বোলার— জয়দেব উনাদকাট (৩-৩৮) এবং বিজয় শঙ্কর (২-৩২) বাংলাদেশ-কে থামিয়ে দেন আট উইকেটে ১৩৯ রানে। এর পর শিখর ধবনের (৪৩ বলে ৫৫) আরও একটা হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে আট বল বাকি থাকতে ছ’উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার সময় ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছিলেন, ‘‘পিচ পরের দিকে ব্যাটিংয়ের জন্য আরও ভাল হয়ে যায়।’’ দেখা গেল, সেটাই হয়েছে। ধবন ছাড়াও রান করে গেলেন সুরেশ রায়না (২৭ বলে ২৮), মণীশ পাণ্ডে (১৯ বলে অপরাজিত ২৭)।
তবে ধবন বা উনাদকাট নয়, ম্যাচের সেরা হলেন অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। মাঝের ওভারে আঁটসাঁট বল করে বাংলাদেশকে আটকে রাখার জন্য। নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার পরে তিনি বলেছেন, ‘‘এ রকম একটা মুহূর্তের জন্যই অপেক্ষা করে ছিলাম। অনেক দিন থেকেই বোলিং নিয়ে আলাদা করে খাটছি। বোলিংই কিন্তু আমার ক্রিকেটকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।’’
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অবশ্য কখনও রান রেট খুব বেশি বাড়াতে পারেনি। আগের ম্যাচের দলই নামিয়েছিল ভারত। এ দিন বোলিং ওপেন করেন জয়দেব উনাদকাট এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। গত আইপিএল থেকেই বল ওপেন করছেন এই অফস্পিনার। এ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও একই ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। দেখা যাচ্ছে, বল ওপেন করতে এসে আঁটসাঁট বোলিংই করছেন তিনি। তাঁর ওভারে রান তোলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিলেন এই নবাগত অফস্পিনার।
বাংলাদেশ ইনিংসকে প্রথম ধাক্কা দেন উনাদকাট। সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দিয়ে। শার্দূল ঠাকুর ফিরিয়ে দেন অন্য ওপেনার তামিম ইকবালকে। ভারত এই দলে পেসার-অলরাউন্ডার হিসেবে খেলাচ্ছে বিজয় শঙ্করকে। এ দিন তিনি স্টাম্প টু স্টাম্প বল করে যথেষ্ট সফল। চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে নিলেন দু’উইকেট।
এই টুর্নামেন্টে অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্যকে বিশ্রাম দিয়েছে ভারত। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে বিজয় শঙ্করকে। যিনি আগের ম্যাচেই ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন। টুর্নামেন্টের আগে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, হার্দিকের পরিবর্তে খেলতে হচ্ছে বলে আপনি কি কোনও বাড়তি চাপ অনুভব করছেন? আত্মবিশ্বাসী বিজয়ের উত্তর ছিল, ‘‘আমি কোনও চাপ অনুভব করছি না।’’ মাঠেও দেখা গেল, চাপ তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেনি।
বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান লিটন দাসের। তিনি ৩০ বলে ৩৪ রান করে যান। শেষ দিকে সাব্বির রহমান করেন ২৬ বলে ৩০। কিন্তু এই দু’জনের চেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রান ২০ ওভারে ১৩৯-৮ স্কোরেই থেমে যায়। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল এবং শার্দূল।