Jasprit Bumrah

প্রথম বার ছেলেকে আইপিএল খেলতে দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন বুমরার মা

বাবার মৃত্যুর পরে বুমরাদের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বুমরাদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৪৯
Share:

মা দলজিতের সঙ্গে বুমরা। —ফাইল চিত্র।

আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে যশপ্রীত বুমরাকে খেলতে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তারকা ভারতীয় পেসারের মা দলজিৎ। ছেলের খেলা দেখতে দেখতে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে দলজিৎ ও বুমরা ফেলে আসা কঠিন সময়ের স্মৃতিচারণ করছেন।

Advertisement

লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্পোর্টস বিজনেস সামিটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালকিন নীতা অম্বানীর বক্তব্য দিয়ে শুরু ভিডিয়োটি। তিনি বলছেন, ‘‘যে কোনও জায়গা থেকে উঠে আসা প্রতিভা সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারে। আমি এক অল্পবয়সী তরুণের উত্থানের যাত্রাপথ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।”

এই তরুণ প্রতিভাই আজকের বুমরা। কঠিন রাস্তা অতিক্রম করে আজ তিনি সাফল্যের চুড়োয়। তাঁর উত্থানের রাস্তা মোটেও পাপড়ি বিছানো ছিল না। বরং তা ছিল কাঁটায় ভরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োয় বুমরাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘সেই সব কঠিন সময় আমাকে মানসিক দিক থেকে কঠিন করে তুলেছিল।’’

Advertisement

বুমরা এখন ইস্পাত কঠিন মানসিকতার। ব্যাটসম্যানরা তাঁকে আক্রমণ করলেও তিনি ভেঙে পড়েন না। বরং ফিরে আসেন আরও শক্তিশালী ডেলিভারি নিয়ে। দলজিৎ বলছেন, ‘‘ওর (বুমরা) যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন আমার স্বামীকে হারাই।’’

আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়লেন মেরি কম, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিশ্চিত করলেন অষ্টম পদক

তার পরেই বুমরাদের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বুমরাদের। বুমরা বলছিলেন, ‘‘বাবা চলে যাওয়ার পরে আমাদের কিছু কেনার ক্ষমতা ছিল না। আমার এক জোড়া জুতো ছিল। আর এক জোড়া টি শার্ট ছিল। সেগুলোই আমি রোজ পরতাম। আর প্রতিদিন পরিষ্কার করতাম।’’ বুমরার মা দলজিৎ আবেগরুদ্ধ গলায় বলছিলেন, “একদিন নাইকির জুতোর দোকানে গিয়েছিলাম। জুতোর দাম এতটাই ছিল যে তা কিনতে পারেনি। সে দিনই বুমরা বলেছিল, আমি একদিন এই জুতো কিনব।’’

আরও পড়ুন: ময়াঙ্কের ফের সেঞ্চুরি, পুণেয় বড় রানের দিকে এগোচ্ছে ভারত

বুমরার পায়ে এখন দামি জুতো। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে তাঁর চুক্তি। অসংখ্য টি শার্ট তাঁর বাড়ির আলমারিতে। আর্থিক ভাবে এখন স্বচ্ছল তিনি। বুমরার সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর কাহিনি উঠতি প্রতিভাদের কাছে প্রেরণার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন