আগামী বিশ্বকাপের আর খুব বেশি সময় বাকি নেই। এই অবস্থায় সব দলের মতো ভারতও চাইছে প্রথম একাদশ-সহ রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি দেখে নিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের স্কোয়াড থেকে তাই বাদ পড়েছেন দু’একজন। এসেছেন ভুবি, বুমরা। কিন্তু দলে নেওয়া হয়নি কেদার যাদবকে। দেখে নেওয়া যাক বাকি ওয়ান ডের জন্য ভারতীয় স্কোয়াড।
রোহিত শর্মা: প্রথম এক দিনের ম্যাচে শতরান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সফল হননি। যদিও দল থেকে বাদ পড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তৃতীয় ম্যাচে ওপেনার রোহিতের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে টিম ইন্ডিয়া।
শিখর ধওয়ন: প্রথম দু’টি এক দিনের ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ফর্মে থাকা শিখরকে দরকার ভারতের।
বিরাট কোহালি: অধিনায়ক কোহালি সম্পর্কে কোনও বিশেষণই বোধ হয় যথেষ্ট নয়। পর পর দু’টি ম্যাচে দু’টি শতরান। পর পর তিনটি ম্যাচে শতরানের নজির করতে পারেন কি না, এখন সেটাই দেখার।
অম্বাতি রায়ুডু: বিশাখাপত্তনমে বিরাট কোহালির সঙ্গে চমৎকার পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। স্কোরবোর্ড সচল রাখার কাজ দারুণ ভাবে করেছিলেন চার নম্বরে নামা রায়ুডু। ফর্মে থাকা রায়ুডু ভারতের চার নম্বরের পক্ষে আদর্শ হতে পারেন।
ঋষভ পন্থ: উইকেটের পিছনে দাঁড়ানোর সুযোগ আসেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেলেও তেমন কিছু করতে পারেননি। আগামী বিশ্বকাপে দলে থাকতে গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সফল হতেই হবে।
এম এস ধোনি: উইকেটের পিছনে সফল হলেও ব্যাট হাতে ধোনি তেমন নজর কাড়তে পারছেন না। নিন্দুকরা বলছেন, এ ভাবে চললে বিশ্বকাপে তাঁর বিকল্প হতে পারেন পন্থ। আর সে জন্যই ব্যাটসম্যান ধোনির সাফল্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
কুলদীপ যাদব: কুল-চা জুটি ভারতীয় বোলিং আক্রমণের বড় স্তম্ভ। গত ম্যাচে তিন উইকেট পেলেও অনেকটাই রান খরচ করে ফেলেন। বিশ্বকাপের জন্য ইন ফর্ম চায়নাম্যানকে চাইবে ভারত।
যুজবেন্দ্র চহাল: দ্বিতীয় রিস্ট স্পিনার চহালও তেমন দাগ কাটতে পারেননি গত ম্যাচে। আক্রমণাত্মক ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে অসহায় লাগছিল চহালকেও। বিশ্বকাপে ভাল ফল করতে কুল-চা জুটিকে সফল হতেই হবে।
ভুবনেশ্বর কুমার: দলে ফিরছেন ভুবনেশ্বর কুমার। টিম ইন্ডিয়ার পেস আক্রমণের বড় ভরসা ভুবনেশ্বর ফিরে আসায় দলের শক্তি বাড়বে সন্দেহ নেই।
যশপ্রীত বুমরা: প্রথম একাদশে ফিরছেন বুমরাও। ফলে পেস আক্রমণের ভারসাম্য বাড়বে।
খলিল আহমেদ: তৃতীয় সিমার হিসাবে দলে আসতে পারেন খলিল আহমেদ। বুমরা-ভুবনেশ্বর ফিরে আসায় তাঁদের সঙ্গে খলিলের যোগ বোলিং ভারসাম্য মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবীন্দ্র জাদেজা: অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন ১৫ জনের দলে। স্পিন সহায়ক উইকেটে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। জাদেজা দলে থাকলে বল-ব্যাটের ভারসাম্য বাড়বে।
উমেশ যাদব: ১৫ জনের দলে রয়েছেন। তবে ভুবনেশ্বর এবং বুমরা ফিরে আসায় তৃতীয় ওয়ানডে-তে প্রথম একাদশে কতটা সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে বিশ্বকাপের জন্য তিনি তুরুপের তাস হতেই পারেন।
লোকেশ রাহুল: এখনও পর্যন্ত সুযোগ পাননি। শনিবারও সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এই ম্যাচে শিখর ব্যর্থ হলে, পরের ম্যাচে ভাগ্য খুলতে পারে রাহুলের।
মণীশ পাণ্ডে: রায়ুডু সফল হওয়ায় মিডল অর্ডারে মণীশের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। তবে যে কেনও সময় সুযোগ আসতে পারে।