সিরিজের ভাগ্য ব্যাটসম্যানদের হাতে

ক্রিকেট বিশ্বে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া হল এমন দু’টো দেশ, যেখানে দর্শকেরা খেলাটা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। আর সেখানকার ক্রিকেটমহলের কাছে টেস্ট ক্রিকেটটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বারও সিরিজ শুরুর আগেই উত্তেজনার পারদ ক্রমে চড়ছে।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

অ্যাডিলেডের নেটে বুধবার তৈরি হচ্ছেন বিরাট কোহালি। গেটি ইমেজেস

অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট সিরিজ মানেই একটা আকর্ষণীয় ব্যাপার।

Advertisement

ক্রিকেট বিশ্বে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া হল এমন দু’টো দেশ, যেখানে দর্শকেরা খেলাটা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। আর সেখানকার ক্রিকেটমহলের কাছে টেস্ট ক্রিকেটটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বারও সিরিজ শুরুর আগেই উত্তেজনার পারদ ক্রমে চড়ছে। অস্ট্রেলিয়ার নেটে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ ওয়-দের উপস্থিতিই বলে দেয়, চার টেস্টের এই সিরিজের গুরুত্ব কতটা।

টেস্ট সিরিজে কারা ফেভারিট, তা নিয়ে নানা বক্তব্য থাকতে পারে। কিন্তু আমি এই ফেভারিট শব্দটায় বিশ্বাসী নই। একই সঙ্গে বিশ্বাস করি, ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে কোনও দল দুর্বল হতে পারে না। গত তিরিশ বছরে ক্রিকেট বিশ্বকে অনেক ব্যতিক্রমী ক্রিকেটার উপহার দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সে দেশের ক্রিকেট সম্পর্কে এক সময় এটাও বলা হত, যে এগারোজন মাঠে খেলছেন, তাঁদের সমান যোগ্যতার আরও এগারোজন মাঠের বাইরে বসে রয়েছেন।

Advertisement

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই বলতে পারেন, ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে এই অস্ট্রেলিয়া দল আগের মতো নয়। কিন্তু সবাইকে মনে রাখতে হবে, যাঁরা এই সিরিজে খেলবেন, তাঁরা কিন্তু ঘরের মাঠে নামবেন। ইংল্যান্ড বা ভারতে খেলতে গেলে যে অসুবিধা হয়, সেটা হবে না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। কারণ, এই পরিবেশে ওঁরা জন্মেছেন ও বেড়ে উঠেছেন।

আরও পড়ুন: সীমায় থেকেই উত্তেজক টেস্ট চান কোহালি

বছরের মাঝামাঝি যখন ভারত গিয়েছিল ইংল্যান্ড সফরে, তখন এই ধরনের আলোচনাই হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠিতদের পাশাপাশি, স্যাম কারেন, জস বাটলার, ক্রিস ওকসরা ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ভারতীয় শিবিরে চাপটা ছুড়ে দেন। সে রকম পিটার হ্যান্ডসকম্ব, ট্র্যাভিস হেড, শন মার্শরা নিজেদের চেনা পরিবেশে খেলবেন। সুতরাং ওঁদের খাটো করে দেখা চলবে না। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ এখনও বেশ ভাল। গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেক ভাল টেস্ট দলে একজন করে ভাল স্পিনার রয়েছে। সে রকমই এই অস্ট্রেলিয়া দলেও প্যাট কামিন্স, জশ হেজলউড, মিচেল স্টার্কদের সঙ্গে থাকবেন অফস্পিনার নেথান লায়ন। পুরনো বলে যিনি বিপক্ষ দলের উপরে চাপ তৈরি করতে দক্ষ।

টেস্ট সিরিজ শুরু করার জন্য ভারতীয়দের কাছে অ্যাডিলেড মোটেই খারাপ মাঠ নয়। কারণ, এখানে উইকেট থেকে ব্যাটসম্যানরা সাহায্য পান। তবে আমি নিশ্চিত নই, পিচে কতটা ঘাস থাকবে, সে ব্যাপারে। যদিও আমার মতে পিচে ঘাস থাকলে ভারতীয়দের সমস্যার কিছু নেই। কারণ সে ক্ষেত্রে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনেও সুযোগ থাকবে বিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার জন্য। তবে আমার মতে, এই সিরিজের নিষ্পত্তি হবে কোন দল ভাল ব্যাট করল, তার ওপর। সিরিজ জিততে গেলে ভারতীয় দলের প্রত্যেককে কিছু না কিছু করে দেখাতে হবে। যা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। একা বিরাট কোহালির উপর নির্ভর করলে কিন্তু চলবে না। (গেমপ্ল্যান)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন