সফল: তৃতীয় ম্যাচে ৪১ রানে তিন উইকেট শামির। এপি
ড্রেসিংরুমের যে ‘পারিবারিক’ পরিবেশ তাঁকে সব সময় ঘিরে রাখে, সেটা তাঁর সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন মহম্মদ শামি।
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাউন্ট মাউনগানুইয়ে তৃতীয় ওয়ান ডে-তে দলকে জিতিয়ে ম্যাচের সেরা শামি এসেছিলেন ‘চহাল টিভি’-তে। শামির পরিচয় করিয়ে দিয়ে যুজবেন্দ্র চহাল বলেন, ‘‘এই আমাদের লালাজি (দলে শামির ডাক নাম)। শামি ভাই, তুমি তো কাউকে কিছু করতে দিচ্ছ না। দু’টো ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে গেল।’’ একটু হেসে শামির জবাব, ‘‘নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাই। ফিটনেস থেকে শুরু করে নেট প্র্যাক্টিস, সব কিছুরই প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে। আমরা খেলাটাও খুব উপভোগ করছি। এটাও এক জনের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে।’’ এ দিন জিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ৩-০ এগিয়ে গেল ভারত। দশ বছর পরে নিউজিল্যান্ডের মাটি থেকে এল ভারতের ওয়ান ডে সিরিজ জয়।
তাঁর সাফল্যের পিছনে ড্রেসিংরুমের পরিবেশের কথাও বলেছেন শামি। এই পেসারের কথায়, ‘‘ড্রেসিংরুমে আমরা একে অন্যের সঙ্গে ঠাট্টা-ইয়ার্কি করি। দারুণ উপভোগ করি পুরো ব্যাপারটা। এর পরে আমরা যখন মাঠে নামি, তখন দারুণ তরতাজা থাকি। এ সবেরই প্রভাব পড়ে খেলায়। ড্রেসিংরুমটা একটা পরিবারের মতো। এই পারিবারিক পরিবেশ আমাকে খুব সাহায্য করেছে।’’ চহাল বলেন, ‘‘এর পরে তা হলে যখন খেলতে নামব, তিনটে উইকেট সরিয়ে হিসেব করব। দলের বোলারদের বলে দিতে হবে, তিন উইকেট লালাজি নেবে। সাতটা উইকেট আমরা বাকিরা ভাগাভাগি করে নেব।’’ শুনে হাসতে হাসতে শামি বলেন, ‘‘চেষ্টা করি, যে কাজটা দেওয়া হয়েছে, ঠিকঠাক করার। প্রথম দিকে আমার আর ভুবির (ভুবনেশ্বর কুমার) লক্ষ্য থাকে, যত বেশি সম্ভব আঁটসাঁট বল করা। রান কম দিয়ে উইকেট নেওয়ার। তার পরে তো তোমরা আছো উইকেট নেওয়ার জন্য।’’
চহাল পাশ থেকে বলতে থাকেন, ‘‘প্রথম দিকে তো এই দু’জনই (শামি আর ভুবি) যা করার করে দেয়। আমরা পরে এসে যতটা পারি মালাই লুঠ করে নিই।’’ শুনে শামির মন্তব্য, ‘‘আমরা চেষ্টা করি প্রথম দিকে যতটা সম্ভব চাপ তৈরি করার। তার পরের কাজটা তোমাদের ওপর ছেড়ে দিই। তোমরা তখন যতটা পারো,
লুঠে নাও।’’ প্রথম তিন ওয়ান ডে-র মধ্যে দু’টোতেই ম্যাচের সেরা শামি। আগের বার সেরার পুরস্কার উৎসর্গ করেছিলেন মেয়েকে। এ দিন পুরস্কার নিয়ে টিভি-তে বলেন, ‘‘এখানে প্রচুর হাওয়া দিচ্ছিল। হাওয়ার বিরুদ্ধে বল করাটা বেশ কঠিন কাজ ছিল। কিন্তু কাউকে তো সেটা করতে হবে।’’