৭৫ রানে অপরাজিত থাকলেন শিখর ধওয়ন। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুটা ভাল হল বিরাট কোহালির দলের। নেপিয়ারে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে আট উইকেটে জিতল ভারত। প্রথমে ১৫৮ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করছিল ভারত। কিন্তু, ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৪৯ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ১৫৬ রানের। যা দুই উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় বিরাট কোহালির দল (৩৪.৫ ওভারে ১৫৬/২)।
নেপিয়ারে রানে ফিরলেন শিখর ধওয়ন। বাঁ-হাতি ওপেনার অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে রান পাননি। কিন্তু, নিউজিল্যান্ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ১০৩ বলে অপরাজিত থাকলেন ৭৫ রানে। মারলেন ছয় বাউন্ডারি। ১৩ রানে অপরাজিত থাকলেন অম্বাতি রায়াডুও। বিরাট কোহালির সঙ্গে শিখরের দ্বিতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটিই ভারতের জয় নিশ্চিত করে তোলে। ২৪ বলে ১১ করে রোহিত শর্মা ফেরার পর বিরাট-শিখর ধীরেসুস্থে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান দলকে। পঞ্চাশের ঠিক আগে আউট হন বিরাট। ৫৯ বলে ৪৫ করেন তিনি।
এদিনের অবাক করা ব্যাপার হল ভারতীয় ইনিংসে একসময় খেলা বন্ধ থাকে সূর্যের আলো সরাসরি চোখে পড়ায়। তখন ক্রিজে ছিলেন বিরাট-শিখর। বেশ খানিকক্ষণ পর শুরু হয় খেলা। ততক্ষণে ক্রিজে রোদ নেই। পড়েছে ছায়া। ফলে, ব্যাটসম্যানদের বল দেখতে সমস্যা আর হচ্ছে না। এই কারণেই ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে এক ওভার হারায় ভারত। দুই রান কমে যায় জয়ের লক্ষ্যও।
আরও পড়ুন: দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে ওয়ানডে ফরম্যাটে ১০০ উইকেট শামির
আরও পড়ুন: দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারের তালিকায় প্রথম দশে শামি, বাকিরা কারা?
খেলার শুরুতে নতুন বলে আঘাত হানলেন মহম্মদ শামি। শেষ পর্যন্ত নিলেন তিন উইকেট। আর চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব ভাঙন ধরালেন মিডল ওভারে। সঙ্গতে থাকলেন অন্য স্পিনাররাও। ফলে, নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে ৩৮ ওভারেই দাঁড়ি পড়ল নিউজিল্যান্ড ইনিংসে। কেন উইলিয়ামসনের দল তুলল মাত্র ১৫৭।
ম্যাচের সেরা কুলদীপকে অভিনন্দন সতীর্থদের। বুধবার নেপিয়ারে। ছবি: এএফপি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু কখনই ইনিংস গতি পায়নি। শুরুতেই শামির জোড়া আঘাতের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা। অধিনায়ক উইলিয়ামসনই (৬৪) যা লড়লেন। তাঁর ৮১ বলের ইনিংসে রয়েছে সাত বাউন্ডারি। কিন্তু উল্টোদিকে কাউকে পেলেন না। রস টেলরের ২৪ হল ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর।
মিডল ওভারে ভারতীয় স্পিনারদের সামনে দিশেহারা দেখাল কিউইদের। কুলদীপ ৩৯ রান দিয়ে নিলেন চার উইকেট। কিউই লোয়ার অর্ডার পরপর উইকেট দিতে গেল তাঁকে। লেগস্পিনার যুজভেন্দ্র চহাল আবার রস টেলর ও টম লাথামকে ফিরিয়ে মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরালেন। কেদার যাদবের অফস্পিনেও এল উইকেট।
বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হেঁটেছে ভারত। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জয়ী দল থেকে দুটো পরিবর্তন ঘটায় ভারত। বাদ পড়েন ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক ও বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা। কার্তিকের পরিবর্তে মিডল অর্ডারে আসেন অম্বাতি রায়াডু। আর জাডেজার জায়গায় দলে আসেন কুলদীপ। আর চার উইকেট নিয়ে সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করেন তিনি।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)