ব্যাডমিন্টন দুনিয়াকে শাসন করবে ভারত, মত সিন্ধুর

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দেশের সেরা ব্যাডমিন্টন তারকাদের। গ্লাসগোয় বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের আসর থেকে রুপো জিতে ফেরা সিন্ধু ও ব্রোঞ্জজয়ী সাইনার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন শ্রীকান্তও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৬
Share:

প্রত্যয়: যে দুই কন্যার দিকে এখন তাকিয়ে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে পি ভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল। ছবি: পিটিআই।

ব্যাডমিন্টনে যে এবার থেকে চিন, জাপান, কোরিয়ার মতো ভারতও আধিপত্য করতে পারে, তা বলে দিলেন পিভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল, কিদম্বি শ্রীকান্তরা। তাঁদের বক্তব্য, দেশের সরকার যে ভাবে ব্যাডমিন্টনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আর যে ভাবে এ দেশে পরিকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে, তাতে সেই দিন আর দূরে নেই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দেশের সেরা ব্যাডমিন্টন তারকাদের। গ্লাসগোয় বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের আসর থেকে রুপো জিতে ফেরা সিন্ধু ও ব্রোঞ্জজয়ী সাইনার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন শ্রীকান্তও। সেখানে সাইনা বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আমাদের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। এ রকম চলতে থাকলে আমরাও চিন, জাপান, কোরিয়ার মতো ব্যাডমিন্টনের দুনিয়াকে শাসন করব।’’

সিন্ধুও আশাবাদী ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশে ব্যাডমিন্টনে এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। বহু উঠতি খেলোয়াড় ও উজ্জ্বল তারকা উঠে আসবে অদূর ভবিষ্যতে।’’ ফাইনালে ম্যারাথন ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জাপানের নজোমি ওকুহারার কাছে হার মানতে বাধ্য হন সিন্ধু। যে ম্যাচকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বকালের অন্যতম সেরা ম্যাচ বলা হচ্ছে। সিন্ধু ও ওকুহারা দু’জনই সেরাটা উজাড় করে দেন ফাইনাল জিততে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে হায়দরাবাদের এই তারকা বলেন, ‘‘ওই ফাইনালটাই আমার খেলা সবচেয়ে লম্বা ম্যাচ। শেষ গেমে ২০-২০ অবস্থায় যে কেউ জিততে পারত। কিন্তু দিনটা আমার ছিল না বলেই শেষে হেরে গেলাম।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: লুকোনো অস্ত্র ভরসা এখন বঙ্গ যোদ্ধাদের

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া কিদম্বি শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘একজন খেলোয়াড়ের কাছে স্বীকৃতিই আসল কথা। যা এতদিন পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন পাচ্ছি আমরা। তাই উন্নতি করার প্রেরণাও পাচ্ছি।’’ সাইনার কোচ বিমল কুমার ও জাতীয় কোচ পুলেল্লা গোপীচন্দও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন।

সাইনা ধন্যবাদ জানান সরকারকে। বলেন, ‘‘সরকার ও ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিত। সারা বছর ধরে ওঁরা আমাদের সমানে সাহায্য করেছেন। এই সাহায্যের হাত ওঁরা বাড়িয়ে না দিলে হয়তো আমরা এতটা সফল হতে পারতাম না।’’

ফাইনালে যেমন বাধা পেতে হয়েছিল সিন্ধুকে, তেমনই এ দিন তাঁদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও কম বাধা পেতে হল না। ক্রীড়ামন্ত্রী তাঁর বাসভবনে ডেকেছিলেন সিন্ধুদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগে থেকে এত বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় যে, সামনের লন থেকে অনুষ্ঠানটি সরিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। যার জেরে প্রচুর আমন্ত্রিত অতিথি, এক ঝাঁক মিডিয়া প্রতিনিধিদের সামলাতে হিমশিম খেয়ে যান মন্ত্রী গোয়েল ও তাঁর লোকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন