এর পরে কেন টিভি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে না

‘হ্যান্ড অব গড’ আবার ফিরে এল। কোপা থেকে রেফারির ভুলে ছিটকে যেতে হল ব্রাজিলকে। এ রকম মারাত্মক ভুল আটকানোর জন্য কি গোল-লাইন প্রযুক্তির মতো ক্যামেরা প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া উচিত? ভারতের বিশিষ্ট রেফারি থেকে ফুটবলার জানালেন নিজেদের বক্তব্য।‘হ্যান্ড অব গড’ আবার ফিরে এল। কোপা থেকে রেফারির ভুলে ছিটকে যেতে হল ব্রাজিলকে। এ রকম মারাত্মক ভুল আটকানোর জন্য কি গোল-লাইন প্রযুক্তির মতো ক্যামেরা প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া উচিত ? ভারতের বিশিষ্ট রেফারি থেকে ফুটবলার জানালেন নিজেদের বক্তব্য।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৯:৫৪
Share:

ক্যামেরা প্রযুক্তি থাকলে রেফারি যা দেখতেন

‘হ্যান্ড অব গড’ আবার ফিরে এল। কোপা থেকে রেফারির ভুলে ছিটকে যেতে হল ব্রাজিলকে। এ রকম মারাত্মক ভুল আটকানোর জন্য কি গোল-লাইন প্রযুক্তির মতো ক্যামেরা প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া উচিত ? ভারতের বিশিষ্ট রেফারি থেকে ফুটবলার জানালেন নিজেদের বক্তব্য।

• গৌতম কর (ডিরেক্টর, এআইএফএফ রেফারিজ বোর্ড)
ক্রিকেটের তৃতীয় আম্পায়ারের মতো ফুটবলেও আর এক জন বাড়তি রেফারি থাকা উচিত। যে টিভি রিপ্লে দেখে রেফারিকে সাহায্য করবে। ফিফা কিন্তু ইতিমধ্যেই এ দিকে এগোচ্ছে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি চালু করতে চলেছে ফিফা। খুব সম্ভবত পরের বছরের বিশ্ব ক্লাব কাপে এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাবে। ঘরোয়া ফুটবলে কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-জাপানের মতো অনেক দেশেই এই প্রযুক্তি চালু হয়ে গিয়েছে। সেটা হলে ব্রাজিল ম্যাচে যে বিতর্কিত ঘটনা ঘটল, সেটা এড়ানো যাবে।

• জেজে (২০১৫ সাফ কাপে ভারতের যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা)
হ্যান্ডবলটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। প্রশ্ন হল, ২০১০ জার্মানি-ইংল্যান্ড ম্যাচের পর যদি গোললাইন টেকনোলজি চালু করা যায়, তবে এ রকম বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কেন ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হবে না? বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে ভিডিও রিপ্লে দেখলে নিশ্চয়ই ঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে। মানুষের উপর সব সময় ভরসা রাখলে ভুল তো হবেই।

• প্রদীপ নাগ (প্রাক্তন ফিফা রেফারি)

Advertisement

মনে রাখবেন রেফারির চোখটা ক্যামেরা নয়। যে বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে মুহূর্তের মধ্যে সব দেখে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। রেফারি ভুল করতেই পারে। তাই বলা যেতে পারে, ভিডিও প্রযুক্তি আরও ভাল ভাবে কাজে লাগানোর সময় এসে গিয়েছে।

Advertisement

• বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য (প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক)

হ্যান্ডবল যে পরিষ্কার ছিল, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বলটা কোমরের উচ্চতায় ছিল। হাতে না লাগলে ওই বল গোলে ঢোকে না। এ বার কথা হচ্ছে যে রেফারি এত সময় নিয়েও যখন ভুল সিদ্ধান্ত দিল, তখন বোঝা যাচ্ছে, বাড়তি প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া ছাড়া কোনও রাস্তা নেই।

• আই এম বিজয়ন (ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড)

রেফারি যখন এক বার কোনও সিদ্ধান্ত দেয়, সেটা চূড়ান্ত হয়ে যায়। এ দিন যে রেফারি হ্যান্ডবলটা দেখতে পায়নি, তার কারণ ওঁর পজিশনটা প্লেয়ারের পিছনে ছিল। গোললাইন টেকনোলজি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। তা হলে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে কেন টিভি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আর একবার খতিয়ে দেখা হবে না?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন