মেজাজ: দারুণ আবহাওয়া। তৃতীয় ওয়ান ডে খেলতে কানপুরে পৌঁছে হার্দিক পাণ্ড্য ও শিখর ধবনের সঙ্গে ছবি টুইট করে লিখলেন বিরাট কোহালি।
বিরাট কোহালির দুই পেসারের দুই নতুন অস্ত্রে পুণেয় কাত হল নিউজিল্যান্ড। পুণের জয়ের পরে যশপ্রীত বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমার যা বললেন, তাতে সে রকমই মনে হচ্ছে। বুধবার সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে মূলত এই দুই বোলারের দাপটেই ম্যাচ জেতে ভারত। তার পরে দুই পেসার ফাঁস করেন তাঁদের সাফল্যের রহস্য।
নিউজিল্যান্ডকে শুরু থেকেই রান করতে না দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই যে নেমেছিলেন, জয়ের পরে সে কথাই জানালেন তাঁরা। বুমরা বলেন, ‘‘উইকেট টু উইকেট বল করব, ওদের সহজে রান তুলতে দেব না, এটাই ছিল আসল পরিকল্পনা।’’ বোর্ডের ওয়েবসাইটে নিজেদের মধ্যে আড্ডা মারার সময় এই কথা বলতে শোনা যায় গুজরাতি তরুণকে। বুমরা বলেন, ‘‘শুরুতেই ওদের কয়েকটা উইকেট ফেলে দিতে চেয়েছিলাম, যাতে শেষে ওদের চাপে ফেলে দেওয়া যায়। এই পরিকল্পনাটা এ দিন কাজে লেগে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ভারতে নয়া দিগন্ত দেখছেন বাস্তেন
বুধবার দু’জনে মিলে পাঁচ উইকেট নেন। কলিন মুনরোর জন্য তাঁর বিশেষ ছক নিয়ে ভুবি বলেন, ‘‘মুনরো আগের ম্যাচে আমাদের খুব পিটিয়েছিল। তাই ওর জন্য একটা বিশেষ ছক কষেছিলাম।’’ এই নতুন ছকের কথা বলতে গিয়েই তাঁর নতুন অস্ত্রের রহস্য ফাঁস করেন ভুবি। বলেন, ‘‘কয়েকটা নাকল্ বল দিই কলিনকে। তার পরে বাউন্সার।’’ এই নাকল্ বলেই মুনরোর স্টাম্প ছিটকে দেন ভুবি। তাঁর এই নাকল্ বলের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইপিএলের আগে থেকে নাকল্ বল নিয়ে কাজ করছিলাম। আইপিএলের আগেই তৈরি হয়ে যায় ব্যাপারটা। আমাদের দেশে বল খুব একটা সুইং করে না আর ক্যাচিং পজিশনে আমাদের দু’জন ফিল্ডার থাকে। সেটা মাথায় রেখেই আমি নাকল্ বলটা করছি। দেখলাম ভালই কাজে আসছে।’’
ভুবনেশ্বরের মতো বুমরাও মন দিয়েছেন স্লোয়ার বলে। বলেন, ‘‘আসলে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে একাধিক ফাঁদ পাতা দরকার। আমি স্লোয়ার বলটা নিয়ে আইপিএলের সময় কাজ করেছি। পুণেতে কয়েকটা স্লোয়ার দিয়েছি। পরের ম্যাচগুলোতে আরও দেব।’’ দুই পেসারকে ঠেকাতে এ বার ফের নতুন করে হোমওয়ার্ক করতে হবে গাপ্টিল, টেলর, লাথামদের।