বুমরা, ইশান্ত ও শামি প্রথম টেস্টে নিয়েছেন মোট ১৪ উইকেট।
পারথের বাইশ গজের গতি-বাউন্স নিয়ে চলছিল হুংকার। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা থেকে শুরু করে অজি শিবির, একযোগে চলছিল প্রচার। দ্বিতীয় টেস্টের গতিময় পিচে সমস্যায় পড়বে ভারত, বক্তব্য ছিল এটাই। পিছিয়ে থাকল না টিম ইন্ডিয়াও। পাল্টা মনস্তাত্ত্বিক চাপের খেলায় এ বার নেমে পড়ল বিরাট কোহালির দলও।
অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ১৪ উইকেট নিয়েছে ভারতীয় পেসাররা। যা ৩১ রানে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল বিরাট কোহালির দলের। শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টেও পেস আক্রমণ ভরসা দিচ্ছে দলকে। বোলিং কোচ ভরত অরুণ বুধবার প্রচারমাধ্যমের সামনে ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি ও জশপ্রীত বুমরার উপর আস্থা রাখার কথাই বলেছেন।
অ্যাডিলেডের পিচে পেসাররা তেমন সাহায্য পাননি। পারথের পিচ পেস-সহায়ক হলে তাতে ভারতীয় পেসাররা যে খুশিই হবেন, সেটাই বলেছেন অরুণ। বোলিং কোচের কথায়, “যে উইকেটে সামান্য সাহায্যও থাকবে, তাতে বল করতে নিশ্চয়ই আনন্দ পাবে বোলাররা। তবে, আবার বলছি, যে উইকেটই দেওয়া হোক না কেন, আমরা তাতেই খুশি মনে খেলতে নামব।”
আরও পড়ুন: বয়স ১৮, মণিপুরের রেক্স রাজকুমার কোচবিহার ট্রফিতে নিলেন ১০ উইকেট
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে লড়াকু জয় পিভি সিন্ধুর
বোলারদের লাইন-লেংথে ধারাবাহিক থাকায় জোর দিয়েছেন তিনি। ভরত অরুণ বলেছেন, “বাড়তি গতি ও বাউন্স থাকলে দিশাহীন হয়ে যাওযার একটা আশঙ্কা থাকে। কিন্তু সহায়ক উইকেটে ধারাবাহিক থাকাই সাফল্যের চাবিকাঠি। এটা বুঝতে হবে। আর আমরা ঠিক এটা নিয়েই খাটাখাটনি করছি।”
অরুণ যা বলেছেন, তার অর্থ হল, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, জশ হেজেলউড, প্যাট কামিংসরা থাকলে ভারতেরও ইশান্ত, শামি, বুমরারা রয়েছেন। তাই পারথের উইকেটে গতি আর বাউন্স থাকলে তার ফায়দা তুলতে পারবে ভারতীয় পেসাররাও।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)