আন্দ্রে রাসেলের দিকে তাকিয়ে সবাই। ছবি: রাসেলের ফেসবুক পেজ থেকে।
‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’ আন্দ্রে রাসেলকে ফেরাও, কেকেআর-কে হারাও। এই যেন দেওয়াল লিখন হয়ে গিয়েছে এ বারের আইপিএলে।
নাইটদের সহকারী কোচ সাইমন ক্যাটিচ অবশ্য এর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন না। রাসেল ছাড়াও কেকেআরে রয়েছেন আরও ম্যাচ উইনার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের বল গড়ানোর আগে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার। এ বারের আইপিএলে শুরু থেকেই ঝড় তুলছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। তিনি চলতে শুরু করলে কেকেআরের জয় অবধারিত। ব্যতিক্রম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ। ফিরোজ শাহ কোটলায় স্বভাবসিদ্ধ মারমুখী ইনিংস খেললেও কেকেআর ম্যাচ হারে সুপার ওভারে। রাবাডার ইয়র্কারে ছিটকে যায় রাসেলের স্টাম্প। দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ এখন অতীত।
আরসিবি ম্যাচের আগে কেকেআর শেষ মুহূর্তের তুলির টান দিচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে ক্যাটিচ বলেন, ‘‘রাসেলের খেলার ধরনে আমাদের আস্থা রয়েছে। মাঝের ওভারগুলোয় ওকে দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে থাকার কথা বলছি। ইনিংসের শুরুর দিকে প্রতিপক্ষ রাসেলকে শট খেলার জায়গা দেয় না। ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকলে পরের দিকে ও শট খেলতেই পারে। নেটে কঠিন পরিশ্রম করছে রাসেল। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পছন্দও করে ও।’’
আরও পড়ুন: চেন্নাইকে উড়িয়ে পাণ্ড্য বললেন, ‘ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাতে চাই’
আরও পড়ুন:খারাপ ফিল্ডারদের তুলে পরিবর্ত ফিল্ডার নামাচ্ছে কয়েকটি দল, তীব্র আক্রমণ কাইফের
এখনও পর্যন্ত তিনটি ইনিংস থেকে রাসেল করেছেন সাকুল্যে ১৫৯ রান। গড় প্রায় আশির কাছাকাছি। যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে দক্ষ রাসেল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে তবে কি রাসেলের উপরে বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল কেকেআর? ক্যাটিচের সাফ জবাব, ‘‘রাসেল স্টার প্লেয়ার। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু রবিন উথাপ্পা, নীতীশ রাণা, দীনেশ কার্তিকের মতো ব্যাটসম্যানরাও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পারে। আমাদের ব্যাটিং অর্ডার খুবই শক্তিশালী।’’ ক্যাটিচ আলাদা করে শুবমান গিলের কথাও বলেছেন। নাইটদের সহকারী কোচ সবার কথা বললেও শুক্রবার রাসেল নামলে তিনিই হয়ে যাবেন জনতার নয়নের মণি। তাঁর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন নাইট-ভক্তরা।