ওয়াটসন-ঝড়ে প্রায় প্লে অফে চেন্নাই এক্সপ্রেস

ঘরের মাঠে ফিরতেই জয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। ফেরালেন বিধ্বংসী শেন ওয়াটসন। প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তোলে ১৭৫-৩। এক বল বাকি থাকতে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় সিএসকে। ৫৩ বলে ৯৬ করে যান ওয়াটসন। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৫৪
Share:

আক্রমণাত্মক: ৫৩ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলে চেন্নাইকে জয় উপহার শেন ওয়াটসনের। মঙ্গলবার। এএফপি

ঘরের মাঠে ফিরতেই জয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। ফেরালেন বিধ্বংসী শেন ওয়াটসন। প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তোলে ১৭৫-৩। এক বল বাকি থাকতে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় সিএসকে। ৫৩ বলে ৯৬ করে যান ওয়াটসন।

Advertisement

চিদম্বরমের পিচ বোলারদেরই সাহায্য করে আসছিল এত দিন। বিশেষ করে স্পিনারদের। কিন্তু মঙ্গলবার বাইশ গজে ঝড় তুললেন দুই ব্যাটসম্যান। প্রথমে হায়দরাবাদের মণীশ পাণ্ডে। পরে অবশ্যই ওয়াটসন। এই জয়ের ফলে আবার লিগ তালিকায় শীর্ষে চলে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে সিএসকে প্রায় প্লে-অফে উঠেই গেল। এ বার দেখার, প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকতে পারে কি না তারা।

তবে ম্যাচ হারলেও হায়দরাবাদকে স্বস্তি দেবে ঠিক মণীশ পাণ্ডের ফর্ম। এই ম্যাচের পরে আর জনি বেয়ারস্টোকে পাচ্ছে না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ডেভিড ওয়ার্নারও ফিরে যাবেন আর কয়েকটা ম্যাচের পরে। সেই অবস্থায় মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ৪৯ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকলেন মণীশ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে সাতটি চার, তিনটি ছয়।

Advertisement

বেয়ারস্টো তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ার পরে মণীশ এবং ওয়ার্নার মিলে খেলাটাকে ধরেন। ওয়ার্নার ৪৫ বলে ৫৭ করে ধোনির দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। তবে হায়দরাবাদকে ভুগিয়েছে শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে না পারা। একটা সময় মোটামুট ১০ রান রেট ছিল ওয়ার্নারদের। কিন্তু শেষ দিকে প্রত্যাশিত ভাবে রান ওঠেনি। শেষ তিন ওভারে ওঠে মাত্র ২৪ রান। যার জেরে হায়দরাবাদ থেমে যায় তিন উইকেটে ১৭৫ রানে। চেন্নাইয়ের সেরা বোলার সেই হরভজন সিংহ। যিনি চার ওভারে ৩৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন।

চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ থাকলেই একটা চেনা ছক প্রয়োগ করছেন ধোনি। টস জিতে ফিল্ডিং নাও আর হরভজনকে খেলিয়ে দাও। মঙ্গলবারে হায়দরাবাদ ম্যাচেও সেই ছকের কোনও বদল হল না। এবং চিত্রনাট্য মেনে হায়দরাবাদের প্রথম উইকেটটাও তুলে নিলেন হরভজন।

ম্যাচের শেষে হরভজন বলেন, ‘‘অসুস্থতার জন্য আমি কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারিনি। আমার পুরো পরিবারই অসুস্থ ছিল। আবার মাঠে ফিরতে পেরে খুব ভাল লাগছে। ম্যাচটা ১৯ ওভারেই শেষ হয়ে গেলে ভাল ছিল। কিন্তু ওরা আমাদের স্নায়ুর পরীক্ষা নিচ্ছিল।’’

এ বারের আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বেয়ারস্টো। তবে এই মরসুমে এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল। এ দিনের পরে তিনি ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিতে চলে যাবেন। সেই বেয়ারস্টোকেই এ দিন শুরুতে ফিরিয়ে দেন হরভজন। অফস্পিনারের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ইংল্যান্ড ওপেনার।

এই ম্যাচে দু’দলই একটা করে পরিবর্তন করেছিল। হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ব্যক্তিগত কারণে এই ম্যাচের আগে দেশে ফিরে যাওয়ায় শাকিব আল হাসানকে খেলাচ্ছে হায়দরাবাদ। অন্য দিকে শার্দূল ঠাকুরের জায়গায় খেলছেন হরভজন।

প্রথম আইপিএল মরসুম শেষ করে দেশে ফেরার আগে বেয়ারস্টো বলে যান, ‘‘দারুণ উপভোগ করলাম আইপিএলে আমার প্রথম মরসুমটা। দারুণ সব সতীর্থ, কোচেদের সঙ্গ পেলাম।’’ প্রথম মরসুমেই এই সাফল্যের রহস্য কী? বেয়ারস্টোর জবাব, ‘‘নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হয়। ওয়ার্নারের সঙ্গে আমার জুটিটা খুব ভাল জমে গিয়েছিল। ওয়ার্নার যদি শুরু থেকে মারত, তা হলে আমি ওকে বেশি স্ট্রাইক দিতাম। আবার উল্টোটাও হত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন