একেবারে গৃহযুদ্ধ। দুই ভাই। কিন্তু দু’জনেই আলাদা দলে। না, লোকসভা নির্বাচন নয়, নিখাদ ক্রিকেটীয় যুদ্ধ। আইপিএলের মাঠেই রবিবার হায়দরাবাদ প্রত্যক্ষ করবে এই লড়াই।
একই বাড়িতে থাকা, নামের পরে একই পদবি। তাঁদের বাবা-রা দুই ভাই, মায়েরা দুই বোন, কিন্তু দুই ভাই আলাদা দলের হয়ে খেলছেন।
মুম্বই-চেন্নাই ভক্তদের মধ্যে চূড়ান্ত রেষারেষি, স্নায়ুর চাপ। সেই চাপ, সেই লড়াই, সেই মানসিক অস্থিরতা কি চাহার পরিবারেও? চেন্নাই সুপার কিংসের দীপক চাহার এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রাহুল চাহার।
বাড়িতে দুই ভাইয়ের নামেই দেওয়া হয়েছে পুজো। আগরায় যৌথ পরিবারেই বেড়ে উঠেছেন তাঁরা। আইপিএল ফাইনাল দেখতে পুরো চাহার পরিবারই রবিবার হাজির থাকছেন হায়দরাবাদের রাজীব গাঁধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
লোকেন্দ্র চাহারের ছেলে দীপক। তাঁর ভাই দেশরাজের ছেলে রাহুল। বয়সের তফাত সাত বছর। দীপক বড়। একেবারে ছোটবেলা থেকে হাতে করে দুই ভাইকে ক্রিকেট খেলা শিখিয়েছেন লোকেন্দ্র নিজেই।
এ বারের আইপিএলে পাওয়ার প্লে-র সেরা বোলার বলা হচ্ছে দীপককে। এখনও পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। ইকনমি রেট ৭.৫৩। পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, ৭৯ শতাংশ বল দীপক পাওয়ার প্লে-তে করেছেন।
এ বারের আইপিএলে ১২ ম্যাচে ১২ উইকেট, ইকনমি রেট ৬.৮৩, মুম্বইয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন তরুণ লেগস্পিনার রাহুল।
নতুন বলে সুইং, নিয়ন্ত্রণে দক্ষ দীপক। অন্যদিকে রাহুলের অন্যতম অস্ত্র হল নিখুঁত লাইন-লেংথ এবং বৈচিত্র, লেগব্রেকে দক্ষতা।
রঞ্জি ট্রফিতে ডেবিউতেই ১০ রানে দিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন দীপক। বয়স তখন ১৮। হায়দরাবাদ ২১ রানে অল আউট হয়ে যায়। ২০১১ সালে রাজস্থান রয়্যালসে সুযোগ মিললেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি।
অনূর্ধ্ব ১৬-তে ২০১৩-২০১৪ সালে বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে তিনবার পাঁচ বা তাঁর একাধিক উইকেট পেয়েছেন রাহুল। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলেও মেলে সুযোগ।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে যুবরাজ সিংহ ও গৌতম গম্ভীরের উইকেট তুলে নেন রাহন, নজরে পড়েন মুম্বই নির্বাচকদের। ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কেনে মুম্বই। ওই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন দীপক। চেন্নাইয়ের পছন্দ হয় দীপককে। ৮০ লক্ষ টাকায় দীপককে কেনে চেন্নাই।
তাই আজকের আইপিএল ফাইনাল যে দলই জিতুক, কাপ ঢুকছে চাহার পরিবারেই।